প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২৫, বুধবার
নিজস্ব প্রতিবেদক:
হিজাব পরতে বলা বা না বলাকে কেন্দ্র করে ‘মিথ্যা’ অভিযোগের জেরে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখার শিক্ষক ফজিলাতুন নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটির অ্যাডহক কমিটি। এ ঘটনায় বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে বসুন্ধরা ক্যাম্পাস।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও স্লোগান
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীরা মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেয়। তারা ক্যাম্পাসের ভেতরে এবং আশপাশের সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন—
-
“মিথ্যা অভিযোগ মুছে দাও, শিক্ষকের ন্যায় ফিরিয়ে দাও”
-
“জাস্টিজ ফর নাহার আপা”
-
“শিক্ষক জাতির দিশারী, তার সম্মান রক্ষা করি”
শিক্ষার্থীদের দাবি
দশম শ্রেণির ছাত্রী মেহের আফরোজ কনক বলেন,
“আমাদের শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তিনি শুধু ড্রেসকোড মানতে বলেছিলেন।”
নবম শ্রেণির ছাত্রী রোকাইয়া বিনতে মাজহার বলেন,
“আপা হিজাব পরতে নিষেধ করেননি, বরং সঠিকভাবে পরতে বলেছিলেন। একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরা আপার পুনর্বহাল চাই।”
সাবেক শিক্ষার্থীর প্রতিক্রিয়া
সাবেক ছাত্রী আনিসা করিম বলেন,
“আমি ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত পড়েছি। কখনো শিক্ষকরা হিজাব নিয়ে আপত্তি জানাননি। আপার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন।”
বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের বক্তব্য
ফজিলাতুন নাহার বলেন,
“আমি কাউকে হিজাবের কারণে ক্লাস থেকে বের করিনি। বরং বলেছি—তোমরা হিজাব পরে স্কুলে আসবে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।”
কর্তৃপক্ষের অবস্থান
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম জানান,
“অ্যাডহক কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপসংহার
ঘটনাটি ঘিরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষক ফজিলাতুন নাহারের পুনর্বহাল দাবি করছেন, অন্যদিকে কর্তৃপক্ষ তদন্ত শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।