প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ বিশাল জয় পেয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভিপি (সহসভাপতি) পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আবু সাদিক কায়েম, জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে এস এম ফরহাদ এবং এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে মুহা. মহিউদ্দীন খান।
শিবিরের জয়ী পদসমূহ
-
ভিপি (সহসভাপতি): মো. আবু সাদিক কায়েম
-
জিএস (সাধারণ সম্পাদক): এস এম ফরহাদ
-
এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক): মুহা. মহিউদ্দীন খান
-
১২ সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে জয়
-
১৩ সদস্য পদের মধ্যে ১১টিতে জয়
➡️ মোট ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতে বিজয়ী
নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কৌশল
ভিপি ও জিএস প্রার্থী নিয়ে অন্য ছাত্রসংগঠনগুলো যখন অনিশ্চয়তায় ছিল, তখন থেকেই শিবির তাদের প্রার্থী স্পষ্ট করেছিল। দীর্ঘ প্রস্তুতি, সংগঠিত কাঠামো এবং কৌশলগত অবস্থান তাদের এগিয়ে রেখেছে।
শিবিরের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল চারজন ছাত্রী ও চাকমা সম্প্রদায়ের একজন শিক্ষার্থীকে, যা তাদের ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ ইমেজকে আরও শক্তিশালী করেছে। এছাড়া হিজাব পরা ও না পরা—দুই ধরনের প্রার্থী থাকায় ভিন্নধর্মী চিত্র উপস্থাপন করেছে তারা।
শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীরা যখন ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, তখনও হলে হলে কার্যক্রম চালিয়ে গেছে শিবির। রাজনৈতিক পরিচয় আড়াল রেখে কল্যাণমূলক ও শিক্ষার্থীবান্ধব কার্যক্রমের মাধ্যমে আস্থা তৈরি করে তারা।
এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিবিড় সংযোগ স্থাপিত হয়, যা নির্বাচনী সমর্থনে রূপ নেয়।
নেতৃত্বের মূল্যায়ন
ভিপি পদে বিজয়ী আবু সাদিক কায়েম বলেন:
“হুট করে কিছু হয়নি। এটা শুধু ২০ দিনের প্রচারের ফল নয়, বরং ধারাবাহিকতার ফসল। সবার সঙ্গে যুক্ততা, সক্ষমতা, ব্যক্তিত্ব—সব মিলিয়েই শিক্ষার্থীরা আমাকে বেছে নিয়েছেন।”
তিনি আরও জানান, তাঁরা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ধারণায় বিশ্বাস করেন এবং ডাকসুর নতুন নেতৃত্ব শিক্ষার্থীদের স্বার্থে সব মত ও আদর্শের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে।
বিশ্লেষণ
নির্বাচনে বিভিন্ন প্যানেলের ভোট বিভক্ত হলেও শিবিরের ভোট ঐক্যবদ্ধ থেকেছে। পাশাপাশি তাদের সাংগঠনিক প্রস্তুতি, শিক্ষার্থীদের প্রতি সহমর্মিতা ও কল্যাণমূলক কার্যক্রম জয়কে সুসংহত করেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।