প্রকাশের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় থাকা “সেফ এক্সিট” প্রসঙ্গকে ঘিরে এবার সরাসরি মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “যাদের একাধিক দেশের পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব নেয়া, তারাই আবার অন্যদের সেফ এক্সিটের তালিকা করে।”
আসিফ মাহমুদ আরও লেখেন,
“যারা ৫ আগস্ট পালিয়েছিল, তাদের সিমপ্যাথাইজাররা কষ্টে মরে যাচ্ছে। বারবার ফ্যাসিস্টদেরই পালাতে হবে। আমাদের জন্ম এদেশে, মৃত্যুও এদেশের মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ। ফ্যাসিস্ট, খুনিদের সঙ্গে লড়তে লড়তে আমার ভাইদের মতো শহীদী মৃত্যুই কামনা করি।”
🔹 পটভূমি: “সেফ এক্সিট” বিতর্কের সূত্রপাত
গত কয়েক দিন ধরে দেশের রাজনীতিতে “সেফ এক্সিট” শব্দটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দাবি করেন,
“উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছে, তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের (নিরাপদ প্রস্থান) কথা ভাবতেছে।”
তার এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বুধবারই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন,
“তাঁর (নাহিদ ইসলাম) বক্তব্য তাঁকেই সাবস্ট্যান্টসিয়েট করতে হবে। তাঁর বক্তব্যকে আমার সাবস্ট্যান্টসিয়েট করার বিষয় না, আমার খণ্ডানোরও বিষয় না।”
এর পরপরই স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ফেসবুক পোস্টটি প্রকাশিত হয়, যা রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
🔹 কাকে ইঙ্গিত করলেন আসিফ?
আসিফ মাহমুদ তাঁর পোস্টে “একাধিক দেশের পাসপোর্টধারী ও নাগরিক” বলে কারও নাম উল্লেখ না করলেও, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তার এই বক্তব্য সম্ভবত কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক ব্যক্তিকে উদ্দেশ করে করা হয়েছে—যাদের বিদেশে স্থায়ী বসবাস বা নাগরিকত্ব রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উপসংহার:
দেশের অন্তর্বর্তীকালীন রাজনীতিতে “সেফ এক্সিট” বিতর্ক দিনদিন তীব্র হচ্ছে। একাধিক উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের পরস্পরবিরোধী মন্তব্যে বিষয়টি নতুন দিক নিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র:
আসিফ মাহমুদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ, গণমাধ্যম প্রতিবেদন
