প্রকাশকাল: বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রবাস বুলেটিন
জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। একদিকে তার বিরুদ্ধে প্রচারিত টেলিভিশন প্রতিবেদনের অভিযোগ, অন্যদিকে মাকে জড়িয়ে কান্নারত রিপনের ভিডিও—দুই বিপরীত চিত্র একসঙ্গে নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো অনলাইন দুনিয়াকে।
📺 টেলিভিশন প্রতিবেদনে অভিযোগ
সম্প্রতি একটি জাতীয় টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনে রিপনের মা–কে উদ্ধৃত করে বলা হয়,
“খুব কষ্ট করে মানুষ করছি, এখন পরিচয়ও দেয় না। আমরা গরিব, পরিচয় দিলে যদি ওর মান–ইজ্জত না থাকে!”
প্রতিবেদনটিতে আরও দাবি করা হয়, বর্তমানে রিপন মিয়া স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে আলাদা বাড়িতে বসবাস করছেন এবং বাবা–মায়ের খরচ বহন করছেন না। এই প্রতিবেদন সম্প্রচারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। অনেকেই তাকে ‘অহংকারী’ ও ‘অবজ্ঞাকারী সন্তান’ বলে মন্তব্য করেন।
😢 ভাইরাল হলো মায়ের সঙ্গে কান্নার ভিডিও
পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পাল্টে যায় আরেকটি ভিডিও প্রকাশের পর। সেখানে দেখা যায়, কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রিপন মিয়া ও তার মা।
রিপন মাকে জড়িয়ে ধরে বলতে শোনা যায়,
“তোমারে দেহি না আমি? আব্বারে দেহি না আমি? তুমি ইড্ডা কী করলা? আমার জীবনডা শেষ করলা!”
ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয় এবং জনমতের দিক পাল্টে যায়। অনেক নেটিজেন মন্তব্য করেন,
“মা–ছেলের সম্পর্ক পবিত্র—এই সম্পর্ক নিয়ে বিচার করার আগে দু’বার ভাবা উচিত।”
অন্য এক মন্তব্যে লেখা হয়,
“ভুল হতেই পারে, কিন্তু অনুতাপ থাকলে মাফ হওয়া উচিত।”
🗣 রিপনের প্রতিক্রিয়া
বিষয়টি নিয়ে রিপন মিয়া জানান,
“এই মুহূর্তে কথা বলার মানসিক অবস্থায় নেই। তবে খুব শিগগিরই সব প্রশ্নের উত্তর দেব। আমি সব সময় আমার পরিবারকে দেখেছি, ভবিষ্যতেও দেখব। কারও কোনো কষ্ট থাকলে তা পূরণ করব। কিন্তু যারা আমার সরল মা–বাবাকে ব্যবহার করে সংবাদ বানিয়েছে, তাদের বিচার একদিন হবেই।”
গত সোমবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি অভিযোগ করেন,
“কয়েকজন টেলিভিশন সাংবাদিক কোনো অনুমতি ছাড়াই আমার বাড়িতে ঢুকে ভিডিও করেছে। ঘরে নারী সদস্য থাকা সত্ত্বেও তারা পরিবারকে হেনস্তা করেছে।”
🧩 রিপন মিয়ার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
নেত্রকোনার সদর উপজেলার এক কাঠমিস্ত্রির ছেলে রিপন মিয়া ২০১৬ সালে প্রথম আলোচনায় আসেন।
তার একটি ভিডিও —
“বন্ধু তুমি একা হলে আমায় দিয়ো ডাক,
তোমার সাথে গল্প করব আমি সারা রাত”—
এই সংলাপের সরলতা ও দেশীয় আবেগে ভর করে ভাইরাল হয়।
এর পর থেকে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তিনি নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বর্তমানে তার ফলোয়ারসংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। তবে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি নানা বিতর্কও পিছু নিয়েছে।
❓ ভাইরাল সংবাদ নাকি ব্যক্তিগত সম্পর্ক?
রিপন মিয়াকে ঘিরে এই ঘটনার পর নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—
ভাইরাল সংবাদের আড়ালে সত্যটা কোথায়?
মা–ছেলের সম্পর্কের পূর্ণ চিত্র কি আমরা কখনো জানতে পারি?
নাকি একাংশ দেখে সামাজিক রায় দিয়ে দিই?
									 
					