প্রকাশের তারিখ: শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মুহাম্মাদ শাহজাহান বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন তরুণ প্রজন্মের পক্ষ থেকে বার্তা দিয়েছে যে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের যুগ থেকে গণতন্ত্রের যুগে প্রবেশ করেছে। তিনি দাবি করেন, এই ধারাবাহিকতায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠনের মতো আসনে বিজয়ী হবে এবং বিএনপিকে বিরোধী দলে যেতে হবে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম নগরে আয়োজিত এক সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশের আয়োজন করে নগর জামায়াত।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন,
-
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জনগণের কাছে মৌলিক সংস্কার, গণহত্যার বিচার, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
-
কিন্তু একটি মহলের চাপে বা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ সংকুচিত করার চেষ্টা চলছে।
-
স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি দেশ শাসন করেছে, তবে এ তিন দলের মধ্যে দুর্নীতি, দালালি ও ফ্যাসিবাদী শাসন দেশের ক্ষতি করেছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রধান উপদেষ্টার আশপাশের ব্যক্তিরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। তবে জামায়াতের অবস্থান হচ্ছে—বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হতে দেওয়া হবে না।
সভাপতির বক্তব্য
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। তিনি জুলাই আন্দোলনকে দ্রুত প্রভিশনাল অর্ডারের মাধ্যমে আইনগত ভিত্তি দেওয়ার দাবি জানান। তার ভাষায়, দেশে বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে যখন সরকারের সিদ্ধান্ত এভাবে বৈধতা পেয়েছে, তাহলে জুলাই সনদকে কেন আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না—এটি প্রশ্নবিদ্ধ।
সারসংক্ষেপ
চট্টগ্রামের সমাবেশে জামায়াত নেতারা সরকারের ওপর ষড়যন্ত্রমূলক প্রভাব, নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা এবং জুলাই আন্দোলনের আইনগত স্বীকৃতির দাবি তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তারা দাবি করেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জামায়াত ক্ষমতায় আসবে এবং দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তির ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন ঘটবে।