প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর দাবিতে পরিশোধন কারখানার মালিকপক্ষ সরকারকে চাপ দিচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবিত পুরোটা সরকার মেনে নিতে রাজি নয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মালিকপক্ষ প্রতি লিটার সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারদরের তুলনায় এই প্রস্তাব অনেক বেশি বলে মনে করছে সরকার। এ কারণে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) দাম নির্ধারণে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে।
বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন,
“কারখানার মালিকেরা দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা পর্যালোচনা করছি। দাম বাড়তে পারে ঠিক, তবে তা লিটারে কত টাকা হবে সেই হিসাব করা হচ্ছে।”
বৈঠক ও সিদ্ধান্ত
-
সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
-
বৈঠকে বাণিজ্যসচিব, বিটিটিসি চেয়ারম্যান মইনুল খান এবং ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিকপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।
-
আন্তর্জাতিক বাজারদর, বিটিটিসির ফর্মুলা ও ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের আলোকে দাম পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রস্তাবের কারণ
কারখানার মালিকেরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি টন ১ হাজার ২০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছে। এ কারণে দেশীয় বাজারেও দাম সমন্বয় জরুরি।
বর্তমান পরিস্থিতি
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভোজ্যতেলের দাম কিছুটা বাড়ানো হবে। তবে প্রস্তাবিত ১০ টাকার পরিবর্তে লিটারে কত টাকা সমন্বয় হবে, তা শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে।
👉 পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত পুরোনো দামে ভোজ্যতেল বিক্রি চলবে।
