প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২৫
ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউরোপের শীর্ষ নেতাদের এক বিরল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে রাশিয়ার প্রতি কিছু ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু ইউরোপীয় নেতারা দ্রুত হস্তক্ষেপ করে ট্রাম্পকে সেই অবস্থান থেকে সরাতে সচেষ্ট হন। বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও উপস্থিত ছিলেন।
কারা ছিলেন বৈঠকে
-
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার
-
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ
-
জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস
-
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি
-
ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব
-
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন
-
ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে
মূল আলোচ্য বিষয়
-
ট্রাম্প বৈঠকের শুরুতে দাবি করেন, “পুতিন শান্তি চুক্তির জন্য প্রস্তুত।”
-
ইউরোপীয় নেতাদের আশঙ্কা ছিল—এভাবে শান্তি প্রক্রিয়া এগোলে পুতিনই সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যাবেন।
-
জার্মান চ্যান্সেলর মের্ৎস বলেন: “রাশিয়াকে দনবাস ছেড়ে দেওয়া মানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ছেড়ে দেওয়ার মতো।”
-
জেলেনস্কি বৈঠকের পর ইউরোপীয় নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “ইউক্রেন একা নয়।”
বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ দিক
-
বৈঠকের একপর্যায়ে ট্রাম্প ৪০ মিনিট ধরে পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করেন এবং জানান—পুতিন জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় রাজি হয়েছেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বৈঠক হতে পারে।
-
ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনার প্রস্তাব দিয়েছে, যা ইউরোপ অর্থায়ন করবে।
-
ট্রাম্প জানিয়েছেন, শান্তি চুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্রও শান্তিরক্ষায় ভূমিকা রাখবে। তবে মার্কিন সেনাদের সম্পৃক্ততা কেমন হবে, সে বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করেননি।
-
ইউক্রেনের এক উপদেষ্টা মন্তব্য করেন, পুতিন এই শর্ত মেনে নেবেন না—কারণ ইউরোপীয় সেনাদের ইউক্রেনে উপস্থিতি রাশিয়ার জন্য অগ্রহণযোগ্য।
বিশ্লেষণ
হোয়াইট হাউসের এই বৈঠক ছিল এক বিরল কূটনৈতিক প্রচেষ্টা, যা ইউরোপের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ ভূরাজনীতির দিকনির্দেশক হতে পারে। যদিও বৈঠক সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল, তবু রাশিয়া–ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিরসনের মূল বাধা এখনো অটুট রয়েছে।