প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ঢাকা
রাশিয়ার অর্থনীতিতে ধস নামানোর হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে ইউরোপীয় দেশগুলোকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। তার মতে, রুশ তেল আমদানি চালিয়ে যাওয়া দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করা গেলে মস্কোকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করা সম্ভব হবে। খবর—আল জাজিরা।
মার্কিন অর্থমন্ত্রীর সতর্কবার্তা
সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে রাশিয়ার অর্থনীতি ভেঙে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন বেসেন্ট।
-
“এখন বিষয়টা দাঁড়িয়েছে—ইউক্রেনীয় সেনারা কতদিন টিকে থাকতে পারে আর রুশ অর্থনীতি কতদিন টিকে থাকতে পারে—সেই হিসেবের ওপর,” এনবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন তিনি।
-
তার মতে, দ্বিতীয় পর্যায়ের শুল্ক আরোপ ও রুশ তেল আমদানি করা দেশগুলোর ওপর চাপ বাড়ালে রাশিয়ার অর্থনীতি পুরোপুরি বিপর্যস্ত হবে এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আলোচনায় আসতে বাধ্য করা যাবে।
-
বেসেন্ট স্পষ্ট করে জানান, “আমরা রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে প্রস্তুত, তবে ইউরোপীয় অংশীদারদেরও এতে এগিয়ে আসতে হবে।”
সাম্প্রতিক পদক্ষেপ ও প্রেক্ষাপট
-
এর আগে গত মাসে ট্রাম্প প্রশাসন রুশ তেল কেনা চালিয়ে যাওয়ার কারণে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম কঠোর অর্থনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।
-
বেসেন্টের মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগে ইউক্রেন জানায়, রাশিয়া ২০২২ সালের আগ্রাসনের পর থেকে এবারই সবচেয়ে বড় বিমান হামলা চালিয়েছে। রাতভর চলা এ হামলায় অন্তত ৪ জন নিহত এবং কিয়েভের একটি সরকারি ভবনে আগুন লাগে।
-
ইউক্রেনে নিযুক্ত মার্কিন বিশেষ দূত কিথ কেলগ এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এটি প্রমাণ করে রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধের বদলে আরও বড় আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছে।”
ট্রাম্প ও জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া
-
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও রোববার সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে তিনি আরও কঠোর অবস্থান নিতে প্রস্তুত, তবে বিস্তারিত কোনো পদক্ষেপ জানাননি।
-
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “কিছু দেশ এখনো রুশ তেল ও গ্যাস কিনছে, যা ন্যায়সঙ্গত নয়। এসব দেশের ওপর শুল্ক বসানোই সঠিক পদক্ষেপ।”
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ একসাথে কঠোর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ালে রাশিয়ার অর্থনীতি গভীর সংকটে পড়তে পারে, যা সরাসরি যুদ্ধ পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।