প্রকাশের তারিখ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫
আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক | প্রবাস বুলেটিন:
গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের পর হামাস সেখানে নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বিভিন্ন অভিযানে নেমে বিরোধীদের সহযোগিতার অভিযোগে কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী, সোমবার হামাস অন্তত ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে এবং চারজনের মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজায় আটক আরও চার বন্দীর মরদেহ দেশে ফিরেছে।
হামাস তাদের আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, চোখ বাঁধা অবস্থায় আটজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। হামাস তাদের ‘বিরোধীদের সহযোগী ও অপরাধী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের পর গাজার উত্তরাঞ্চলে হামাসের কালো মুখোশধারী সশস্ত্র পুলিশ রাস্তায় পাহারা দিতে শুরু করেছে। হামাসের নতুন নিরাপত্তা ইউনিট ‘প্রতিরোধ বাহিনী’ গাজার বিভিন্ন এলাকায় অপরাধী চক্র এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ইউনিটটির উদ্দেশ্য গাজায় স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং যেকেউ যিনি নাগরিকদের জন্য হুমকি সৃষ্টি করবে, তাদের নির্মূল করা।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা ধরে হামাসের নিরাপত্তা বাহিনী এবং হিল্লেস পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। হিল্লেস পরিবার রাজনৈতিকভাবে ফাতাহ পার্টির সঙ্গে যুক্ত। গাজার পূর্বাঞ্চলীয় শহর শুজাইয়াতে সংঘর্ষ চলছে, যা ‘ইয়েলো লাইন’-এর কাছে অবস্থিত।
গাজার নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও বিভিন্ন সশস্ত্র ইউনিট এবং গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা বিদ্যমান। হামাসের ‘প্রতিরোধ বাহিনী’ মাঠপর্যায়ে অভিযান চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা শক্তিশালী করছে।
বিশ্লেষণ:
ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের পর গাজার রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থির। হামাসের পদক্ষেপ ও নতুন নিরাপত্তা ইউনিট গঠন সেখানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও, বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষ ও মৃত্যুদণ্ড কার্যক্রম উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।
									 
					