প্রকাশের তারিখ: সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদদাতা: প্রবাস বুলেটিন ডেস্ক
কুয়ালা লামপুর:
চীনের পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিরল খনিজের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের প্রতিক্রিয়ায় এই শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যা আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালা লামপুরে অনুষ্ঠিত ‘আসিয়ান’ সম্মেলনের প্রান্তিক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন সমঝোতার ফলে সেটি স্থগিত রাখা হয়েছে।
মূল তথ্যসমূহ:
- 
বাণিজ্য সমঝোতার পটভূমি:
মালয়েশিয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের গোষ্ঠী আসিয়ান-এর বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন মার্কিন অর্থসচিব স্কট বেসেন্ট। সেখানে চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দুই দেশের মধ্যে বিরল খনিজ রপ্তানি ইস্যু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা হয়। - 
বেসেন্টের বক্তব্য:
“চীনের সঙ্গে আলোচনার ফলেই আপাতত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ স্থগিত রাখা হচ্ছে,” বলেন বেসেন্ট। তিনি আরও জানান, বেইজিং বিরল খনিজ রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ও লাইসেন্স ব্যবস্থা চালু করার যে পরিকল্পনা নিয়েছিল, তা অন্তত এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে ওয়াশিংটনের আশা রয়েছে। - 
চীনের অবস্থান:
যদিও চীন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেনি, বেইজিংয়ের সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে—
“চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সম্ভাব্য বাণিজ্যচুক্তির বিষয়ে মৌলিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে।”
চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী হে লিফেং বলেন, “চীন-আমেরিকার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পারস্পরিক লাভের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। সহযোগিতা দুই দেশের জন্যই লাভজনক, সংঘর্ষ কেবল ক্ষতির কারণ।” - 
ভবিষ্যৎ বৈঠক:
ট্রাম্প বর্তমানে আসিয়ান সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন এবং সেখান থেকে জাপান হয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে তাঁর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্যচুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে বলে ওয়াশিংটন নিশ্চিত করেছে। 
অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট:
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিরল খনিজ (rare earth minerals) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিক উত্তেজনা চলছিল। এই খনিজগুলোই আধুনিক প্রযুক্তিপণ্যের মূল উপাদান। দুই দেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা থাকা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাণিজ্যনীতি নিয়ে দ্বন্দ্ব বেড়ে যায়। তবে নতুন এই সমঝোতা বৈশ্বিক বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারে বলে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
শেষ কথা:
বেসেন্ট জানিয়েছেন, “১০ নভেম্বর শেষ হতে যাওয়া বাণিজ্য-সংঘাতের বিরতির মেয়াদ বাড়ানো হবে।”
চীনও অচিরেই যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন আমদানি পুনরায় শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সূত্র:
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, রয়টার্স, বেইজিং স্টেট নিউজ
									 
					