প্রকাশের তারিখ: ১৯ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সেনাবাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। দীর্ঘ সময় মাঠে দায়িত্ব পালনের কারণে সেনাসদস্যদের জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে সেনাসদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান। এতে পদস্থ কর্মকর্তারা সরাসরি উপস্থিত ছিলেন এবং সব সেনা স্থাপনার কর্মকর্তারা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
সেনাপ্রধানের মূল বক্তব্য
-
নির্বাচন প্রসঙ্গে: “দেশ এখন নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
-
জনসম্পৃক্ততা: “দীর্ঘ সময় ধরে সেনারা মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন, আগে এত দীর্ঘ সময় মাঠে থাকতে হয়নি। তাই সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। দূরত্ব থাকলে তা দূর করতে হবে।”
-
পেশাদারিত্ব: “সেনাবাহিনী একটি পেশাদার সংগঠন। মাঠে দায়িত্ব পালনের সময় প্রতিশোধমূলক কোনো কাজে জড়ানো যাবে না। চেইন অব কমান্ড অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।”
কটূক্তি ও সমালোচনা নিয়ে সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী ইস্যুতে নানা কটূক্তির বিষয়ে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “এসব মন্তব্যে অখুশি হওয়ার কিছু নেই। যারা এসব করছে, তারা আমাদের সন্তানের বয়সী। বড় হলে নিজেরাই বুঝতে পারবে ও লজ্জিত হবে।”
অভিযোগ তদন্ত ও শৃঙ্খলা
-
সেনাপ্রধান জানান, একজন সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তদন্তাধীন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-
আরেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ নিয়েও তদন্ত চলছে। নৈতিক স্খলনের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
-
তবে তিনি স্পষ্ট করেন, “মিডিয়া ট্রায়ালের ভিত্তিতে কোনো শাস্তি দেওয়া হবে না, প্রমাণিত অভিযোগেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বার্তা
সেনাপ্রধান বলেন, “একজন সেনা কর্মকর্তাকে গড়ে তুলতে রাষ্ট্র বিপুল অর্থ ব্যয় করে। তাই কেউ যাতে অপরাধে জড়াতে না পারে, সে বিষয়ে আগেভাগেই খেয়াল রাখতে হবে। অপরাধে জড়িয়ে পড়ার পর তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দিলে সেটি রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় ছাড়া কিছুই নয়।”