প্রকাশিত: সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, এত আন্দোলন ও রক্তের পর যদি আবারও আগের মতো সাজানো নির্বাচনের দিকে দেশ যায়, তবে জনগণ সেই নির্বাচনে অংশ নেবে না।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গণভোট ও জুলাই সনদ প্রসঙ্গ
পরওয়ার বলেন, জুলাই সনদের ঐকমত্যের ইস্যুগুলো পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতি যুক্ত করে গণভোটে দেওয়া যেতে পারে। তিনি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে সর্বদলীয় জাতীয় রাজনৈতিক সংলাপ আয়োজনের আহ্বান জানান।
“প্রয়োজনে গোল টেবিল বৈঠক ডাকুন, তারপর গণভোটে যান। জনগণ যা সিদ্ধান্ত দেবে আমরা তাই মেনে নেব। এতে কোনো রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে না।”
তিনি উল্লেখ করেন, জুলাই সনদকে আইনি রূপ দেওয়ার দুটি পথ আছে—
-
প্রেসিডেনশিয়াল প্রোক্লেমেশন ও অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে আইন প্রণয়ন।
-
গণভোটের মাধ্যমে জনগণের রায় নেওয়া।
নির্বাচন কমিশনকে কড়া সমালোচনা
ইসি প্রধানের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
“সংবিধানে নির্বাচনের কোনো নির্দিষ্ট পদ্ধতি লেখা নেই। কোন পদ্ধতিতে হবে, সেটা জনগণ ও নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। পিআর পদ্ধতি নেই—এমন বক্তব্য আজব।”
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন,
-
“২০২৬ সালে নির্বাচন হচ্ছে কোন সংবিধানের ভিত্তিতে? শেখ হাসিনার সরকার ২০২৪-এ নির্বাচন করেছে। সংবিধান যদি মানেন, তাহলে ২০২৯ সালে নির্বাচন হওয়ার কথা।”
-
“ইউনূস সাহেব কোন সংবিধানের অধীনে এসেছেন?”
রাজনৈতিক অবস্থান ও সংশয়
জামায়াত নেতা অভিযোগ করেন, কিছু দল সংস্কার হলেও ক্ষমতায় গিয়ে সব মুছে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।
তিনি প্রশ্ন তোলেন,
“যদি সব বাতিল হয়ে নির্বাচিতদের হাতে ছেড়ে দিতে হয়, তাহলে এত আয়োজনের দরকার কী?”
উপসংহার
গোলাম পরওয়ারের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, জামায়াত আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও নির্বাচনপদ্ধতি নিয়ে তীব্র সংশয়ে আছে। তারা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের রায়কে মেনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে।