রবিবার, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

প্রকাশের তারিখ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা: একই সময়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে রাজপথে নেমেছে জামায়াতে ইসলামীসহ অন্তত সাতটি রাজনৈতিক দল। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তারা কোনো জোটের ঘোষণা দেয়নি, তবে আন্দোলনের ধরন ও দাবি বিএনপির সঙ্গে মতবিরোধ সৃষ্টি করায় নতুন প্রশ্ন উঠেছে—এ কি বিএনপির বিপরীতে একটি বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার চেষ্টা?

আন্দোলনে থাকা দলগুলো

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

  • জামায়াতে ইসলামী

  • খেলাফতে মজলিস (দুই অংশ)

  • নেজামে ইসলাম

  • খেলাফত আন্দোলন

  • জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)

দাবিসমূহ

দলগুলো মূলত জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজন, পূর্ণ আনুপাতিক বা পিআর পদ্ধতির ভোট, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, আওয়ামী লীগের বিচার এবং জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার মতো দাবি তুলেছে।

বিএনপির অবস্থান

বিএনপি এসব দাবির বেশ কয়েকটির সঙ্গে একমত নয়। দলটি মনে করে—

  • পূর্ণ পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে তারা রাজি নয়।

  • গণভোটের প্রস্তাবও সমর্থন করছে না।

  • জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আদালত ছাড়া অন্য কারও সিদ্ধান্তের সুযোগ নেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন,

“আমরা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছি। মনোনয়ন ও প্রার্থী চূড়ান্তকরণসহ প্রস্তুতি চলছে। এর বাইরে রাস্তায় নামার বা মবক্রেসি করার কোনো পরিকল্পনা নেই।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বাইরে গিয়ে রাজপথে কর্মসূচি ঘোষণার পেছনে ‘ভিন্ন উদ্দেশ্য’ রয়েছে।

জামায়াতের দাবি

জামায়াত অবশ্য বিএনপির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছে। দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন,

“আমরা কোনো দলের বিরুদ্ধে নই, জনগণের দাবির পক্ষে আন্দোলন করছি। জুলাই সনদের ভিত্তিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ চাই। পিআরসহ অন্যান্য দাবিতে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার।”

তিনি দাবি করেন, টেবিলে সমাধান না আসায় বাধ্য হয়েই তারা রাজপথে নেমেছেন।

ভিন্ন অবস্থানে এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ

এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ এবং এবি পার্টি যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে আছে।

  • এনসিপি: শুধু উচ্চকক্ষে পিআর ব্যবস্থার পক্ষে, তবে পূর্ণ পিআর সমর্থন করে না।

  • গণঅধিকার পরিষদ: বিভক্তি সৃষ্টিকারী আন্দোলনের অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে।

বিশ্লেষণ

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ থাকায় নির্বাচনে তৈরি হওয়া শূন্যতার মধ্যে জামায়াতসহ ইসলামপন্থী ও ছোট দলগুলো যৌথভাবে মাঠে নেমে নিজেদের শক্তি দৃশ্যমান করতে চাইছে। অনেকেই মনে করছেন, এ আন্দোলনের লক্ষ্য বিএনপিকে চাপে ফেলা এবং বিকল্প নেতৃত্বের সম্ভাবনা তৈরি করা।

উপসংহার

সরকার ঘোষিত নির্বাচনের মাত্র পাঁচ মাস বাকি। তফসিল ঘোষণার সময় ঘনিয়ে আসছে। এই মুহূর্তে বিএনপির বিপরীতে সমান্তরাল আন্দোলন শুধু রাজনীতিতে নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি করছে না, নির্বাচনের সময়সূচিও ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


👉 প্রবাসীদের রাজনীতি ও নির্বাচনী খবর জানতে সঙ্গে থাকুন [প্রবাস বুলেটিন]

Leave A Reply

বৈদেশিক কর্মসংস্থান, অভিবাস ও প্রবাস জীবন সংক্রান্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল।

যোগাযোগ

সিটি হার্ট শপিং কমপ্লেক্স (১১তম ফ্লো), রুম ১২/৮, ৬৭, নয়াপল্টন, ভিআইপি রোড, ঢাকা-১০০০, ফোন: +৮৮০ ১৫৩৩-১৯০৩৭১, ইমেইল: info@probashbulletin.com

Exit mobile version