প্রকাশের তারিখ: ৯ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশে এমন অনেক বৈঠক ও মিটিং হচ্ছে যার বিষয়ে কেউ কিছু জানে না, তবে এসবের রাজনৈতিক কোনো গুরুত্ব নেই।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকায় নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
🔹 ‘রাজনীতিতে এসব মিটিংয়ের কোনো গুরুত্ব নেই’
এক আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় তিন দেশের কূটনীতিকদের বৈঠক প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আমীর খসরু বলেন,
“কূটনীতিকরা কার বাসায় বৈঠক করবে সেটা নিয়ে বিএনপি চিন্তা করে না। কতজন, কত জায়গায় মিটিং করবে—এই বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। কেউ জানে না, এমনও অনেক মিটিং হচ্ছে। এগুলোর কোনো গুরুত্ব নেই আমাদের কাছে।”
তিনি আরও বলেন,
“আগামীর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা—এটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের জনগণ কী চায়, সেটাই বড় বিষয়; জনগণের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।”
🔹 জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু জানান,
“বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ১৮ মাসের মধ্যে এক কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। এই লক্ষ্য অর্জনে দক্ষতা উন্নয়ন (স্কিল ডেভেলপমেন্ট) জরুরি, আর সে ক্ষেত্রে জার্মানির সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি বলেন,
“স্কিল উন্নয়ন ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। জার্মানি ইতোমধ্যে চীন ও ভারতে বিনিয়োগ করেছে; এখন তারা বাংলাদেশকেও সম্ভাবনাময় বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করছে। আমরা আশা করছি, জার্মান বিনিয়োগ আগামীতে বাংলাদেশে আরও বাড়বে।”
🔹 ‘বিনিয়োগে স্থিতিশীলতা অপরিহার্য’
বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে আমীর খসরু বলেন,
“ভালো বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য আমরা আমাদের অবস্থান ও সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের কাছে পরিষ্কার করেছি। বিনিয়োগ সামিটে লিখিতভাবে আমাদের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে, দূতাবাসগুলোকেও জানানো হয়েছে।”
নির্বাচন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
“বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীলতা অবশ্যই দরকার। সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। নির্বাচিত সরকার এলে বিনিয়োগকারীরা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে পারবে।”
শেষ কথা:
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মতে, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে জনগণের সিদ্ধান্ত ও একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ওপর, যেখানে বিদেশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
									 
					