প্রকাশের তারিখ:
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | প্রবাস বুলেটিন
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কার ও ঐক্যের পথে ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষরকে ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। তিনি বলেছেন, এই সনদ ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়েছে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মাইকেল মিলার লিখেছেন,
“জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। এটি মৌলিক সংস্কার বিষয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গড়ে ওঠা ব্যাপক ঐকমত্যের প্রতিফলন।”
তিনি আরও বলেন,
“এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ২০২৬ সালের নির্বাচনের পথে দেশটি ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এটি তারই প্রমাণ।”
🔹 রাজনৈতিক ঐকমত্যের নতুন ধাপ
‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ ২৫টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিভাজনের পর এই সমঝোতা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নতুন আশা জাগিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সেই অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতি বাংলাদেশের গণতন্ত্র, শাসনব্যবস্থা সংস্কার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ইউরোপীয় সহযোগিতার ধারাবাহিকতার ইঙ্গিত দেয়।
🔹 ইইউর অবস্থান: অবাধ নির্বাচনের পক্ষে
ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে সুশাসন, জবাবদিহিতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার নিয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি তারা অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেছে।
এ লক্ষ্যে ইইউ বাংলাদেশের প্রতি কারিগরি সহায়তা প্রদান এবং প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের মতে, এই সহযোগিতা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও মজবুত করবে এবং টেকসই উন্নয়নের পথে দেশটিকে এগিয়ে নেবে।
সমাপ্তি মন্তব্য:
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কারে ‘জুলাই সনদ’ এখন নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। দেশীয় রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ঐকমত্য এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইতিবাচক সাড়া মিলিয়ে এটি দেশের গণতন্ত্র পুনর্গঠনের পথে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
									 
					