বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বায়ুদূষণ দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ঢাকার বাতাসের গুণমান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স – AQI) প্রায়ই ২০০-৩০০-এর মধ্যে থাকে, যা অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। কিছু সময় এ স্কোর ৩০০-এর ওপরে গিয়ে পৌঁছায়, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বায়ুদূষণের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে যানবাহনের কালো ধোঁয়া, নির্মাণকাজের ধুলাবালি, কলকারখানার নির্গত ধোঁয়া ও উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পোড়ানো। এই দূষিত বাতাস শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের সমস্যা, হৃৎপিণ্ডের রোগ এবং চোখের জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মানদণ্ড অনুযায়ী, সুস্থ থাকার জন্য বাতাসের PM2.5 ও PM10 কণার পরিমাণ নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে থাকা জরুরি। কিন্তু ঢাকার বাতাসে এসব ক্ষতিকর কণার মাত্রা সহনশীলতার চেয়ে অনেক বেশি। গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার বাতাসে PM2.5-এর পরিমাণ ১০০ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার ছাড়িয়ে যাচ্ছে, যেখানে WHO-এর বেঁধে দেওয়া মাত্রা ২৫ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার।
বায়ুদূষণের প্রভাব:
- শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা ও হাঁপানি বৃদ্ধি
- শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি
- চোখের জ্বালাপোড়া ও ত্বকের সমস্যা
- দীর্ঘমেয়াদে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা হ্রাস
- হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা বৃদ্ধি
সরকার ও সাধারণ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বায়ুদূষণ কমানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা নাগরিকদের মাস্ক ব্যবহার ও অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ।