আইএফআইসি ব্যাংকের প্রায় ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৪ মার্চ) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন।
১৫ ডিসেম্বর আইএফআইসি ব্যাংকের রিলেশনশিপ অফিসার সাহিবুর রহমান বাদী হয়ে সাকিব আল হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন—সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী শাহাগীর হোসাইন, পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকার বেগম।
১৮ ডিসেম্বর আদালত আসামিদের হাজির হতে সমন জারি করেন। তবে সাকিব আল হাসান ও গাজী শাহাগীর হোসাইন আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০১৭ সালে সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ও টার্ম লোন হিসেবে মোট ২.৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়। পরবর্তী সময়ে ঋণ পরিশোধ না করায় ব্যাংকটি নোটিশ পাঠায়। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটি ৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার দুটি চেক প্রদান করে, যা বাউন্স হয়।
ঋণের টাকা ফেরত না পাওয়ায় আইএফআইসি ব্যাংক আইনি নোটিশ পাঠায়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থ ফেরত না দেওয়ায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করে। আদালত সাকিব ও গাজী শাহাগীর হোসাইনের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন।