চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানার কাপাসগোলা এলাকায় ড্রেনে ব্যাটারিচালিত রিকশা পড়ে নিখোঁজ হওয়া সাত মাস বয়সী শিশু শেহেরিজ-এর লাশ উদ্ধার হয়েছে ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পর। শনিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে চাক্তাই চামড়ার গুদাম এলাকার একটি খাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, সকালে খালের পানিতে ভেসে থাকতে দেখা গেলে স্থানীয় লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে, যখন শেহেরিজ তার মা ও নানির সঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে বাসায় ফিরছিল। তারা একটি কালভার্টের পাশের গলি দিয়ে যাওয়ার সময় ভারী বৃষ্টির মধ্যে রিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের ড্রেনে পড়ে যায়।
জানা যায়, শিশুটির মা তাকে আঁকড়ে ধরেছিলেন, কিন্তু ড্রেনের প্রচণ্ড স্রোতের কারণে একপর্যায়ে শিশুটি হাতছাড়া হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির মা ও নানিকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও শেহেরিজ নিখোঁজ ছিল।
ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তল্লাশি অভিযান শুরু করে। দীর্ঘ সময় পর শনিবার সকালে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয় দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪-৫ কিলোমিটার দূরে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা নগরবাসীর মধ্যে গভীর শোক ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। নগরীর অরক্ষিত ড্রেন, অনিয়ন্ত্রিত রিকশাচালনা এবং দুর্বল অবকাঠামো নিয়ে আগেও নানা সময়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষাকালে এই ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে, ফলে কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
শিশু শেহেরিজের মৃত্যু শুধুই একটি পরিবারের নয়, বরং সমগ্র নগর ব্যবস্থাপনার প্রতি একটি কঠিন প্রশ্নচিহ্ন। নাগরিক জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এখনই দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।