📅 প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৫ | সোমবার রাত
ঢাকা:
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সব ধরনের প্রকাশ্য রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই মর্মে একটি প্রজ্ঞাপন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হয়েছে গত ১২ মে। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ১৩ মে রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের মাধ্যমে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান বিচারকার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর প্রকাশনা, প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলনসহ সকল ধরনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকবে। এ নিষেধাজ্ঞা সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সদস্যদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
তবে সরকার পরিষ্কার করে জানিয়েছে, এ সিদ্ধান্ত কোনো রাজনৈতিক দল বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে নয়। বরং আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড বা দলটির বিষয়ে আইনসিদ্ধ, যুক্তিপূর্ণ ও গঠনমূলক মতামত প্রকাশ এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না।
সরকার জানিয়েছে, বিগত প্রায় ১৫ বছর ধরে বিশেষ করে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে গুম, খুন, নির্যাতন, সন্ত্রাস এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সাধারণ ফৌজদারি আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে সম্প্রতি সংগঠনগুলো উসকানিমূলক ও সহিংস তৎপরতায় জড়িয়েছে। এতে মামলা সংশ্লিষ্ট সাক্ষী ও বাদীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এবং বিচার কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে জাতীয় নিরাপত্তা এবং চলমান বিচারপ্রক্রিয়া সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।
📌 উল্লেখ্য, নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন এবং এর ব্যত্যয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ওপর অর্পণ করা হয়েছে।
🔍 আরও আপডেট জানতে চোখ রাখুন প্রবাস বুলেটিন-এ।