📅 প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৫ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক
✍️ প্রবাস বুলেটিন রিপোর্ট
ইসরায়েলি অবরোধে কার্যত মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। প্রতিদিনের লাগাতার গোলাবর্ষণ, মানবিক সহায়তার ঘাটতি এবং খাদ্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় গাজায় প্রায় পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনি অনাহারের মুখে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্ল্যাসিফিকেশন (IPC)-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
🔴 গাজায় দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ৯৩ শতাংশ মানুষ
IPC-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজাবাসীর ৯৩ শতাংশই এখন তীব্র খাদ্যঘাটতির মধ্যে রয়েছেন। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে মানুষের জন্য অপরিহার্য পণ্যসম্ভার হয় ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে, নয়তো কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফুরিয়ে যাবে।
সেখানে বলা হয়েছে,
“গাজা উপত্যকায় প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন আজ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন পার করছেন।”
বিশেষত উত্তর গাজা এবং দক্ষিণের রাফা এলাকায় পরিস্থিতি সবচেয়ে শোচনীয়। খাদ্য, জল, ওষুধ এবং আশ্রয়ের অভাবে দিন কাটছে হাজার হাজার মানুষের।
⚠️ শিশুদের অপুষ্টি ও অনাহারে মৃত্যু বাড়ছে
অবরোধের কারণে ত্রাণ বা বাণিজ্যিক ট্রাক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছে গাজাবাসী। হাজার হাজার শিশু অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
IPC জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ৫৭ জন গাজাবাসী অনাহারে মারা গেছেন। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
💥 প্রতিদিনের হামলায় মৃত্যুর মিছিল
গাজায় লাগাতার বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। রবিবারের হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন, যাদের মধ্যে শিশু ও নারীও রয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে,
এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। আহত হয়েছেন লক্ষাধিক।
📈 দ্রব্যমূল্য বেড়েছে হাজার গুণ
অবরোধ ও যুদ্ধের কারণে গাজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। IPC জানায়,
“মধ্য গাজায় গমের আটার দাম বেড়েছে ৩,০০০ শতাংশ।”
তবে কর্মসংস্থান, রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষের হাতে নেই প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার টাকাও।
🌍 আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও যুদ্ধবিরতির দাবি
জাতিসংঘ ইসরায়েলের অবরোধকে “যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে খাদ্য ব্যবহার” বলে নিন্দা করেছে। IPC ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা যুদ্ধবিরতি ও অবাধ মানবিক সহায়তার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
🔚 ১৯ মাসের রক্তাক্ত লড়াইয়ের শেষ নেই
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর শুরু হওয়া যুদ্ধ এখনও অব্যাহত। কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় কয়েকবার সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও, স্থায়ী শান্তির কোন লক্ষণ নেই।
উভয় পক্ষ একাধিক পণবন্দিকে মুক্তি দিলেও, ইসরায়েল ও হামাস কেউই সরে আসছে না যুদ্ধের পথ থেকে।
👉 গাজা সংকটের মানবিক ও রাজনৈতিক দিক নিয়ে নিয়মিত আপডেট পেতে চোখ রাখুন প্রবাস বুলেটিন–এ।