📅 প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৫ | মঙ্গলবার
✍️ প্রবাস বুলেটিন আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নয়াদিল্লি/ইসলামাবাদ:
সম্প্রতি যুদ্ধবিরতির পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক সেনা পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যা ৫টায় দুই দেশের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) পর্যায়ের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উভয়পক্ষ আর একটিও গুলি না চালানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। সেই সঙ্গে সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে আগ্রাসনহীন নীতির বিষয়ে একমত হয়।
🔹 বৈঠকের সময় ও প্রেক্ষাপট
এই বৈঠকটি মূলত দুপুর ১২টায় হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা ৫টায় অনুষ্ঠিত হয়, যা যুদ্ধবিরতির পর দুই দেশের মধ্যে প্রথম সামরিক স্তরের সংলাপ। দুই পক্ষ থেকেই সীমান্তে উত্তেজনা হ্রাস এবং অভিযোগের পরিবর্তে সমঝোতার পথে এগোনোর সংকল্প প্রকাশ পায়।
ভারতের ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই এবং পাকিস্তানের ডিজিএমও মেজর জেনারেল কাশিফ আবদুল্লাহ বৈঠকে অংশ নেন।
🔸 বৈঠকে যেসব বিষয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ:
-
আর একটিও গুলি চালানো হবে না—এই প্রতিশ্রুতি পুনরায় দেওয়া হয়।
-
কোনো দেশই শত্রুতামূলক বা আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নেবে না, এমন সিদ্ধান্ত হয়।
-
সীমান্ত এবং সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সেনা হ্রাসে উভয় পক্ষ কাজ করবে।
-
সীমান্তরেখার ১ কিলোমিটারের মধ্যে হেলিকপ্টার এবং ১০ কিলোমিটারের মধ্যে যুদ্ধবিমান প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
-
সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় বিএসএফ (ভারত) এবং রেঞ্জার্স (পাকিস্তান) প্রধান দায়িত্বে থাকবে। সেনাবাহিনী থাকবে প্রস্তুত অবস্থায়, তবে সংঘাত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলে তারা সক্রিয় হবে না।
🔹 বৈঠক শেষে কোনো বিবৃতি নয়
পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডন জানিয়েছে, এই বৈঠক প্রায় ৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। তবে বৈঠক শেষে কোনো দেশই আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। এতে বোঝা যাচ্ছে, পরিস্থিতি এখনো সংবেদনশীল এবং আলোচনা চলমান রয়েছে।
🔸 বিশ্লেষণ ও প্রেক্ষাপট
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বৈঠক ২০২৪ সালের সংঘাত-পরবর্তী অঞ্চলে নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে। অনেকেই তুলনা করছেন ১৯৭১ সালের পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের নাটকীয় মোড়ের সঙ্গে। অতীতের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে এবারের পদক্ষেপ আরও দায়িত্বশীল ও কৌশলী হওয়া উচিত—এমন মত বিশ্লেষকদের।
📌 সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হলে কেবল সামরিক নয়, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক স্তরেও সংলাপ চালিয়ে যেতে হবে বলে মত বিশ্লেষকদের। দুই দেশের সাম্প্রতিক এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে।
👉 বিশ্ব ও প্রবাস সংশ্লিষ্ট সর্বশেষ খবর জানতে ‘প্রবাস বুলেটিন’-এ চোখ রাখুন।