সাবেক এমপি ও সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম গ্রেপ্তার, আরও ৪ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আটক

📅 প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৫ | মঙ্গলবার সকাল

ঢাকা:
আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সোমবার (১৩ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির স্টার কাবাবের পেছনের একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র ও উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তারের পর মমতাজ বেগমকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকা ও মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা ও হত্যাচেষ্টাসহ একাধিক ফৌজদারি মামলা রয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) তাঁকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সূত্র অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। উল্লেখ্য, মমতাজ বেগম ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন। পরে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন তিনি। ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে অংশ নিলেও দলীয় বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদের কাছে পরাজিত হন।

নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে মমতাজ বেগম উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েন এবং একপর্যায়ে আত্মগোপনে চলে যান।

একই রাতে আরও চার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের আরও চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন:

• ৩২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. আরমান,

• ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৭, ৬৮ ও ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সাবেক কাউন্সিলর মাহফুজা আক্তার হিমেল,

• ২ নম্বর গুলিস্তান ইউনিট যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোজাম্মেল,

• আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মেডিকেল কলেজ ইউনিট সদস্য মো. সুমন।

ডিবি জানায়, গ্রেপ্তার চারজনের বিরুদ্ধেও রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, সহিংসতা ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।

প্রসঙ্গত

এই গ্রেপ্তার অভিযান এমন এক সময় হচ্ছে, যখন সরকারের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর সবধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, বিচারের স্বচ্ছতা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

📌 আরও তথ্য ও বিশ্লেষণের জন্য চোখ রাখুন — প্রবাস বুলেটিন।