ঢাকা, ১৪ মে:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাম্য। এই ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্রদল।
সাম্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানায়।
নিহতের ঘটনায় মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ভিসি চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন।
ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ প্রশাসনের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিদের আর দায়িত্বে থাকার অধিকার নেই। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি দ্রুত ভিসি ও প্রক্টরকে অপসারণ করতে। অন্যথায় আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকেও হটানোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।”
সমাবেশে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, “কোনো বিশেষ গোষ্ঠীকে সহায়তা করতে এই ইন্টারিম সরকারকে ক্ষমতায় আনা হয়নি। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের রক্ষা করতে প্রশাসন দায়িত্ব পালন করছে না।”
বিক্ষোভকালে উপাচার্যের বাসভবনের গেটে ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান লেখেন, যেমন—“দফা এক দাবি এক, ভিসির পদত্যাগ”, “আমার ভাইয়ের লাশ পড়ে, প্রশাসন কী করে?”, “নয় মাসে দুই খুন, ভিসি-প্রক্টরের অনেক গুণ” ইত্যাদি।
ছাত্রদল জানিয়েছে, আজ বুধবার (১৪ মে) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আরও একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করবে তারা।
নিহত শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যাকাণ্ডের কারণ ও জড়িতদের সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন নিহতের সহপাঠী, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা।