প্রবাস ডেস্ক, ১৭ মে ২০২৫
মালয়েশিয়া সরকার আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ১ থেকে দেড় লাখ নতুন বিদেশি শ্রমিক নেয়ার পরিকল্পনা করেছে। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মালয়েশিয়া থেকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার তিনজন মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে। সেসব বৈঠকে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, রিক্রুটিং এজেন্সির অংশগ্রহণ এবং মাল্টিপল ভিসার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব
আসিফ নজরুল বলেন, “বাংলাদেশের সব রিক্রুটিং এজেন্সি যেন শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ পায়, সে বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছি। মালয়েশিয়া সরকার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের শ্রমিকদেরও যেন মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেওয়া হয়, সে বিষয়ে অগ্রগতি হচ্ছে। মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
প্রথম ব্যাচে প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক
উপদেষ্টা জানান, গত বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরকালে যে সব শ্রমিক যেতে পারেননি, তাদের বিষয়ে এবারের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় ব্যাচ ভিত্তিতে শ্রমিক নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। প্রথম ব্যাচে ৭ হাজার ৯২৬ জন শ্রমিকের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই তাদের মালয়েশিয়ায় কাজের সুযোগ করে দেওয়া হবে।
ইরেগুলার শ্রমিকদের বৈধকরণের উদ্যোগ
আসিফ নজরুল আরও বলেন, “আমরা প্রস্তাব দিয়েছি যাতে ইরেগুলার শ্রমিকদের নিয়মিত (রেগুলার) করার একটি প্রক্রিয়া চালু করা হয়। যদিও মালয়েশিয়া সরকার জানিয়েছে, যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি জটিল। তখন আমরা বলেছি, অনেক সময় মালিকদের গাফিলতির কারণেই এমনটা ঘটে। মালয়েশিয়া সরকার এ বিষয়ে সমাধানের পথে কাজ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।”
প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টার এই ঘোষণায় মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানের অপেক্ষায় থাকা হাজারো বাংলাদেশি শ্রমিকের মধ্যে আশার আলো দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে নিয়মিত ও প্রক্রিয়াধীন শ্রমিকদের জন্য এটি হতে পারে একটি বড় সুযোগ।
প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার। অতীতে কিছু জটিলতা থাকলেও নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে দু’দেশের শ্রমবাজার সম্পর্ক আরও সুসংহত হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।