স্টাফ রিপোর্টার | ঢাকা | ২৭ মে ২০২৫
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ভূমিকা ও বক্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল। একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ড. ইউনূস এমন এক ‘শান্তি’ প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেখানে মানুষ মার খেয়েও চুপ থাকতে বাধ্য হয়।”
সাক্ষাৎকারে মাসুদ কামাল দাবি করেন, আওয়ামী লীগ আমলে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। তিনি বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা নদীর চর ও জঙ্গলে গিয়ে থেকেছে। এটা এই দেশে ঘটেছে, এবং এসব করেছে আওয়ামী লীগ। সে কারণে তাদের ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী বলেছি, এবং জনগণ তাদের বিদায়ও দিয়েছে।”
ড. ইউনূসের ‘রাজনৈতিক অবস্থান’ নিয়ে প্রশ্ন
ড. ইউনূসের রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা ও অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে মাসুদ কামাল বলেন, “তিনি (ড. ইউনূস) রাজনীতি বোঝেন না। তার ২৫ আগস্টের দেওয়া বক্তব্যেই তা পরিষ্কার। তিনি বলেছেন— ‘আমরা অন্য জগতের মানুষ।’ তিনি স্বীকার করেছেন যে অনেক কিছুই তিনি বুঝতে পারেন না। এমনকি ভুল হলে কাউকে কিছু বলার জায়গাতেও নিজেকে অযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “ড. ইউনূস যদি সবাইকে নিয়ে চলতেন, তাহলে হয়তো দেশের জন্য আরও ভালো কিছু করা সম্ভব হতো। কিন্তু তিনি সেই পথ বেছে নেননি।”
‘অপরিহার্য কেউ নয়’
ড. ইউনূসের বিকল্প রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে মাসুদ কামাল বলেন, “পৃথিবীতে অপরিহার্য কোনো ব্যক্তি নেই। শেখ হাসিনাকেও কেউ কেউ বলতেন আপনি না থাকলে দেশ চলবে না, কিন্তু এখন তিনি নেই— দেশ চলছে। একইভাবে ড. ইউনূসের অনুপস্থিতিতে দেশ চলবে না, এমন ধারণাও অমূলক।”
তিনি আরও মন্তব্য করেন, “যারা নিজেদের অপরিহার্য মনে করেন বা ভাবেন, তাদের আচরণে স্বৈরাচারী মনোভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।”
প্রেক্ষাপট ও প্রতিক্রিয়া
ড. ইউনূস সাম্প্রতিক সময়ের অন্তর্বর্তী রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত থাকায় তার কার্যক্রম ও বক্তব্য নিয়ে নানামুখী বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সরকার পক্ষ থেকে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও, বিরোধী পক্ষ তাকে একজন নিরপেক্ষ পথপ্রদর্শক হিসেবে তুলে ধরছে। মাসুদ কামালের এই মন্তব্য সেই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করলো বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।