ঢাকা, ২৮ মে ২০২৫:
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পাওয়ার পর আজ বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) মো. জাহাঙ্গীর কবির প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে ছিলেন আজহারুল। সেখান থেকেই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক সুরাইয়া আক্তার জানান, “মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খালাস সংক্রান্ত নথিপত্র গতকাল মঙ্গলবার রাতে কারা কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছায়। যাচাই–বাছাই শেষে আজ সকালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।”
গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মত রায়ে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে সব অভিযোগ থেকে খালাস দেন। আদালত রায়ে বলেন, “অন্য কোনো মামলা বা আইনি বাধা না থাকলে তাঁকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।”
মামলার পটভূমি
২০১২ সালের ২২ আগস্ট ঢাকার মগবাজার এলাকার নিজ বাসা থেকে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে রায় দেন।
২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি। আপিল বিভাগের শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর রায় ঘোষণার পর ২০২০ সালের ১৫ মার্চ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই তা গ্রহণ করেন আদালত।
পুনর্বিবেচনার আবেদনের ওপর শুনানি শেষে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালত লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে সংক্ষিপ্তসার জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে শুনানি শেষে গতকাল তাঁকে খালাস দেন আদালত।
আইনজীবীর প্রতিক্রিয়া
আজহারুল ইসলামের পক্ষের প্রধান আইনজীবী বলেন, “রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আদালত প্রমাণের ভিত্তিতে যে রায় দিয়েছেন, তা আইন ও সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।”