স্টাফ রিপোর্টার, প্রবাস বুলেটিন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা উপকূলসংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে ফের বিশাল সংখ্যক ইলিশ নিয়ে ফিরেছে একটি মাছ ধরার ট্রলার। গতকাল সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে ‘এফ বি আল্লাহর দান’ নামের একটি ট্রলার ৬১ মণ ইলিশ নিয়ে পটুয়াখালীর আলীপুর মৎস্য বন্দরে পৌঁছায়। পরে নিলামের মাধ্যমে মাছগুলো ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৪ টাকায় বিক্রি হয়।
গভীর সমুদ্রেই মিলছে ‘রূপালি সোনা’
ট্রলারে থাকা জেলে আবু সালেহ জানান, গত বৃহস্পতিবার আলীপুর ঘাট থেকে ২২ জন জেলে নিয়ে ট্রলারটি সাগরে রওনা হয়। কুয়াকাটা থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে জাল ফেলেন তারা। গত শনিবার বিকেলে জাল তুলতেই দেখা যায়, বিপুল পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েছে।
এই বিপুল পরিমাণ মাছ ‘মেসার্স খান ফিস’ নামের আড়তে নিলামে তোলে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক সাগর মিয়া জানান, ধরা পড়া ইলিশের মধ্যে—
-
৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয় প্রতি মণ ৭৩ হাজার টাকায়,
-
৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৫৮ হাজার টাকায়,
-
৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৪৪ হাজার টাকায়।
ইলিশ ছাড়াও ৪০ হাজার টাকার অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি। সব মিলিয়ে মাছ বিক্রি হয় মোট ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৪ টাকায়।
চলতি মৌসুমে গভীর সাগরে ইলিশের সাফল্য
এর আগে ৯ জুলাই একই এলাকায় ‘এফ বি সাদিয়া-২’ ট্রলারে ধরা পড়ে ৬৫ মণ ইলিশ, যার বাজারমূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। টানা কয়েক দিন ধরে গভীর সমুদ্রে জেলেরা বড় আকৃতির ইলিশ পেয়ে উচ্ছ্বসিত।
মেসার্স খান ফিসের মালিক আবদুর রহিম খান বলেন, “জেলেরা এখন বড় বড় ইলিশ নিয়ে ফিরছেন। সাগরের গভীরে গিয়ে জাল ফেললে ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে।”
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মাছের সরবরাহ আরও বাড়বে
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “জেলেরা বর্তমানে গভীর সমুদ্রে ভালো পরিমাণে ইলিশ পাচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী দিনগুলোতে ইলিশের সরবরাহ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।”