মস্কো, ২৪ জুলাই ২০২৫ (রয়টার্স/ইন্টারফ্যাক্স):
রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় আমুর প্রদেশে নিখোঁজ একটি যাত্রীবাহী বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিমানের ৪৬ আরোহীর কেউই বেঁচে নেই। নিহতদের মধ্যে পাঁচ শিশু ও ছয়জন বিমানকর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং রয়টার্স সূত্রে জানা গেছে, বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পর এক তল্লাশি অভিযানে নিয়োজিত হেলিকপ্টার থেকে প্রথম ধোঁয়া ও পোড়া ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। পরে রাশিয়ার জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
গন্তব্যে পৌঁছায়নি বিমানটি, হারায় যোগাযোগ
বিমানটি সাইবেরিয়ার আঙ্গারা এয়ারলাইন্স পরিচালিত একটি ফ্লাইট, যা ব্লাগোভেসচেনস্ক শহর থেকে আমুর প্রদেশের চীন সীমান্তবর্তী শহর টিন্ডা যাচ্ছিল। তবে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই এটিসি (এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল) এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বারবার চেষ্টা করেও বিমানটির অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছিল না।
রাশিয়ার আপৎকালীন পরিস্থিতি মন্ত্রণালয় (EMERCOM) জানিয়েছে, টিন্ডা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলটি পাহাড় ও ঘন জঙ্গলে ঘেরা এলাকা হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা জটিল হয়ে পড়ছে।
বিমানের বয়স ৬০ বছর
সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানায়, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি ১৯৬৪ সালে তৈরি, অর্থাৎ প্রায় ৬০ বছর পুরোনো। এটি সোভিয়েত আমলের একটি যাত্রীবাহী বিমান মডেল ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটি বা অন্য কোনো প্রযুক্তিগত গোলযোগের কারণেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন।
উদ্ধার কাজ চলছে, সরকারিভাবে শোক প্রকাশ
আমুর প্রদেশের গভর্নর ভাসিলি ওরলভ ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছেন এবং আরোহীদের পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ইতোমধ্যে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার ও পরিচয় শনাক্তকরণ কার্যক্রম শুরু করেছে।
এদিকে, রুশ সরকারের পক্ষ থেকেও দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানানো হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, ইন্টারফ্যাক্স, আমুর প্রদেশ গভর্নরের দপ্তর, রাশিয়ার আপৎকালীন পরিস্থিতি মন্ত্রণালয়।