স্টাফ রিপোর্টার | প্রবাস বুলেটিন | ঢাকা | ২৮ জুলাই ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সোমবারের আলোচনায় বিএনপি ওয়াকআউট করে আলোচনা থেকে সরে দাঁড়ায়। তবে কিছুক্ষণ পর তারা পুনরায় আলোচনায় যোগ দিলেও আলোচ্য বিষয়ের বিরোধিতায় নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে। আলোচনার মাঝপথে হঠাৎ ফায়ার অ্যালার্ম বেজে উঠলে আধা ঘণ্টার জন্য সংলাপ স্থগিত রাখতে হয়।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির শাপলা হলে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার সূচনা করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আলোচনা শুরুতেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, তারা আলোচনায় অংশ নেবেন না। তিনি বলেন, “সংবিধিবদ্ধ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের বিষয়ে আমরা এই আলোচনা থেকে বিরত থাকছি।”
বিএনপির অনুপস্থিতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “একটি বড় দল আলোচনায় না থাকলে ঐকমত্য অর্জন সম্ভব নয়।” তবে সঞ্চালক মনির হায়দার জানান, অতীতেও একাধিক দল ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) দিয়েও আলোচনায় ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে বিএনপি আলোচনায় পুনরায় যোগ দিলেও স্পষ্ট করে জানায়, তারা উল্লিখিত ইস্যুতে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরবে, তবে মূল আলোচনায় অংশ নেবে না।
এরপর বেলা ১২টা ২০ মিনিটের দিকে হঠাৎ ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠে, ফলে সংলাপ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়। সবাই সম্মেলন কক্ষ ত্যাগ করেন। ঘটনাস্থলে থাকা ফরেন সার্ভিস একাডেমির একজন কর্মচারী জানান, “মনে হচ্ছে মূল ভবনের তিন তলায় কেউ ধূমপান করেছিলেন, তার ধোঁয়ার কারণে অ্যালার্ম বেজেছে।”
ফায়ার অ্যালার্ম বন্ধ হয় ১২টা ২৫ মিনিটে এবং আতঙ্ক কাটলে ১২টা ৫৫ মিনিটে পুনরায় আলোচনা শুরু হয়।
এদিনের ঘটনাপ্রবাহ রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য ঐকমত্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে আয়োজিত এ সংলাপে বড় একটি রাজনৈতিক দলের আপত্তি ও ফায়ার অ্যালার্মজনিত স্থবিরতা কমিশনের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ না করলেও, প্রক্রিয়াটি আরও সুশৃঙ্খল হওয়া প্রয়োজন—এমন মত বিশ্লেষকদের।
সংবাদে তথ্যসূত্র: ঐকমত্য কমিশনের অনুষ্ঠানস্থল, সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের বক্তব্য, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।