স্টাফ রিপোর্টার | প্রবাস বুলেটিন | ২৮ জুলাই ২০২৫
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চার দিন ধরে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ জনে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই গত শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনার ঘোষণা দেন। তবে বাস্তবে তাঁর ঘোষণার পরও সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
সংঘর্ষ ও হতাহতের তথ্য
এখন পর্যন্ত সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন থাইল্যান্ডের ১৩ জন এবং কম্বোডিয়ার আটজন সাধারণ মানুষ। এছাড়া দুই দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে প্রায় দুই লাখ মানুষ অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। গোলাগুলির কারণে সীমান্তজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ট্রাম্পের ঘোষণা ও প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে কম্বোডিয়া। তবে থাইল্যান্ড শর্তসাপেক্ষে আলোচনা করতে সম্মত হয়েছে। তারা জানিয়েছে, কম্বোডিয়া নিরীহ থাই নাগরিকদের ওপর হামলা বন্ধ না করলে আলোচনা সম্ভব নয়। কম্বোডিয়া এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে।
সাম্প্রতিক গোলাবর্ষণ
শনিবার ট্রাম্পের ঘোষণা আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই উভয় দেশের মধ্যে ফের গোলাবর্ষণ শুরু হয়। তবে এখন পর্যন্ত নতুন করে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী সোমবার মালয়েশিয়ায় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ভারতীয় সময় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে এই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
সংঘাতের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যকার সীমান্ত সংঘাত দীর্ঘদিনের। ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনে থাকা কম্বোডিয়ার স্থলসীমান্ত নির্ধারণ করেছিল ফ্রান্স। সেই সীমান্ত রেখা নিয়েই আজ পর্যন্ত বিরোধের সূত্রপাত। নানা সময় এই সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা, সংঘর্ষ ও সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
পর্যটনের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক ভারতীয়সহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে পর্যটক এখানে ভ্রমণে যান। চলমান সংঘাত যদি দীর্ঘায়িত হয়, তবে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে পর্যটন ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, স্থানীয় সরকার সূত্র, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম