প্রবাস বুলেটিন ডেস্ক | ৩০ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
মালয়েশিয়ার সারাওয়াক রাজ্যের কুচিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নকল ইমিগ্রেশন স্ট্যাম্প ব্যবহার করে প্রবেশের চেষ্টাকালে ১৫ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। শনিবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে কুয়ালালামপুর থেকে কুচিংয়ে পৌঁছার পরপরই তাদের আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক সরকারি ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে কুচিং ইমিগ্রেশন বিভাগ। আটক ব্যক্তিদের সবাইকে সারাওয়াক রাজ্যের সেমুজা ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, আটককৃতদের পাসপোর্টে বৈধভাবে সারাওয়াক প্রবেশের কোনো রেকর্ড ছিল না। পরে গভীর যাচাইয়ে দেখা যায়, তাদের পাসপোর্টে ব্যবহৃত ইমিগ্রেশন সিলটি ছিল ভুয়া, যা মূলত মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে তৈরি।
এ ঘটনায় মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩-এর অধীনে তদন্ত চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ১৫ জন বাংলাদেশি একটি সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের প্রতারণার শিকার। প্রতিজনের কাছ থেকে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা করে নিয়ে তাদেরকে সারাওয়াক পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দালালরা।
এর মাত্র তিন দিন আগে, ২৫ জুলাই মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক বিশেষ নিরাপত্তা অভিযানে আরও ৮০ জন বাংলাদেশিসহ ৯৯ জন বিদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। নিরাপত্তা যাচাইয়ে ব্যর্থ হওয়ায় তাদেরকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা বারনামা।
ওই অভিযানে প্রায় ৪০০ যাত্রীর পরিচয় ও নথিপত্র যাচাই করে মালয়েশিয়ার সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থা (AKSEM)। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ফ্লাইট লক্ষ্য করে পরিচালিত এই তল্লাশিতে টার্মিনাল-১-এ সাত ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি কার্যক্রম।
প্রতিনিয়ত এভাবে দালালদের ফাঁদে পড়ে বিদেশগামী প্রবাসীরা বিপদের মুখে পড়ছেন। সংশ্লিষ্টদের মতে, মালয়েশিয়ায় প্রবেশে জাল কাগজপত্র ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বাড়ছে, যা বাংলাদেশি প্রবাসীদের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে। পাশাপাশি, দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সচেতনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি জোরদারের ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: মালয় মেইল, বারনামা