শোবিজ অঙ্গনে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি। ২০১২ সালে ভিট-চ্যানেল আই টপ মডেল প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ হয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর ‘ঘাসফুল’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হলেও নিয়মিত হয়েছেন মূলত ছোট পর্দায়।
সম্প্রতি এই অভিনেত্রী জানালেন, বিয়ের পর অভিনয় থেকে অবসরের পরিকল্পনা করছেন তিনি। তার ভাষায়, “বিয়ের পর অভিনয় থেকে অবসরে যাওয়ার চিন্তা আছে। আমার মনে হয়, সংসার ও ক্যারিয়ার দুটি বিষয় একসঙ্গে চালিয়ে যেতে পারব না। আগামী পাঁচ বছর যতটুকু কাজ করার, তা করে যেতে চাই। এরপর বিয়ে করে সংসারে মন দেব। ইচ্ছা রয়েছে দেশের বাইরে সেটেল হওয়ার।”
এমন ঘোষণায় ভক্ত ও সহশিল্পীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই তার এই সিদ্ধান্তকে ব্যক্তিগত জীবনকে গুরুত্ব দেওয়ার সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
এর আগেও একবার সংসার জীবন শুরু করেছিলেন তানিয়া বৃষ্টি। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী সাব্বির চৌধুরীর সঙ্গে বিয়ে হলেও এক বছরের মধ্যেই তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।
পরে একাধিক সহশিল্পীর সঙ্গে তানিয়ার প্রেম ও গোপন বিয়ের গুঞ্জন ছড়ায়। অভিনেতা আরশ খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তানিয়া বিষয়টিকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দেন। এরপর তাদের একসঙ্গে কাজ করাও বন্ধ হয়ে যায়। একইভাবে, শামিম হাসান সরকারের সঙ্গেও সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যায়, যা শেষ পর্যন্ত অপপ্রচার বলেই প্রমাণিত হয়।
গুজব নিয়ে তানিয়া বলেন, “আমি যাদের সঙ্গে কাজ করি, তারা সবাই আমার খুব কাছের। তাই হয়তো গুজব ছড়ায়। মোশাররফ করিমের সঙ্গে শুটিংয়ের সময়টা আমি খুব উপভোগ করি। ক্যামেরার বাইরেও তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। নিলয় আলমগীর হচ্ছে আমার ভাই-ব্রাদার টাইপের। এছাড়া শামিম হাসানের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। শুটিংয়ের বাইরেও আমাদের আড্ডা হয়। সেই আড্ডায় আরও অনেক শিল্পী-নির্মাতাও থাকেন।”
তানিয়া বৃষ্টি বর্তমানে কয়েকটি নাটক ও ওয়েব কনটেন্টে কাজ করছেন। যদিও তিনি অভিনয় থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন, তবুও আগামী কয়েক বছরে তাকে বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন নিজেই।