ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও যদি কোনো বাংলাদেশি নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেন, তাহলে তা হতে পারে তাদের জন্য ভয়াবহ পরিণতির কারণ। এমনকি ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের ওপর আজীবনের নিষেধাজ্ঞাও জারি হতে পারে।
গত মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এমন কঠোর বার্তা দিয়েছে। পোস্টে তারা স্পষ্ট ভাষায় জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের সময় সীমা অতিক্রম করলে ভবিষ্যৎ ভিসা আবেদনে বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হবে এবং এমনকি স্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হতে পারে।
ভুলবশত নয়, দায়িত্ব সচেতনতার আহ্বান
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, কনস্যুলার কর্মকর্তারা প্রতিটি আবেদনকারীর অভিবাসন ইতিহাস সম্পর্কে অবগত থাকেন। অর্থাৎ, কেউ পূর্বে ভিসার শর্ত ভঙ্গ করলে বা মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় অবস্থান করলে তা গোপন রাখা সম্ভব নয়। এজন্য ‘ভুলবশত’ এমন কিছু করার সুযোগ নেই, এবং আবেদনকারীকে নিজ দায়িত্বে সব শর্ত যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
আগেও একাধিকবার সতর্ক করেছিল দূতাবাস
এর আগে, ১৮ জুলাই মার্কিন দূতাবাস সতর্ক করে জানায়—ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় ভুয়া কাগজপত্র বা তথ্য গোপন করাকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এমন অপরাধ প্রমাণিত হলে আজীবনের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, এমনকি ফৌজদারি মামলা পর্যন্ত হতে পারে।
পরবর্তীতে, ২১ জুলাই এক বিবৃতিতে দূতাবাস জানায়, কোনো ভিসা আবেদনে জাল নথির উপস্থিতি বা নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সন্দেহ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই তা যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে জানানো হয়।
দূতাবাসের বার্তা: সততা ও নিয়ম মেনে চলাই নিরাপদ
মার্কিন দূতাবাসের একাধিক সতর্ক বার্তায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে—যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সততা, নিয়ম মেনে চলা ও স্বচ্ছতা অপরিহার্য। ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহার শুধু ব্যক্তির জন্যই নয়, দেশের ভাবমূর্তির জন্যও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।