প্রকাশকাল: রোববার, ৪ আগস্ট ২০২৫
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একবছর পর সিলেটে সংঘটিত হামলা ও হত্যাকাণ্ডের মামলায় শতাধিক আসামি এখনও বিদেশে অবস্থান করছেন। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এইদের মধ্যে অনেকেই যুক্তরাজ্য, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রয়েছেন এবং সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, সিলেটের শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতার প্রবাসে থাকার কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না। তবে দেশে থাকা আসামিদের ধরতে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।
গত বছর জুলাই আন্দোলনে সিলেটে ১৮ জন শহীদ হন এবং হাজারের অধিক মানুষ আহত হয়। এই ঘটনায় ১৯ আগস্ট থেকে শুরু করে জেলা পুলিশ ৩৯টি এবং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) ১০৩টি মামলা করেছে। মোট আসামির সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি হলেও মাত্র ৩১৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলাগুলো স্পর্শকাতর হওয়ায় তদন্তের কাজ গুরুত্বসহকারে চলমান রয়েছে এবং অভিযোগপত্র দাখিল করতে দেরি হচ্ছে। হত্যার ১৬টি মামলায় সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার নাম জড়িত রয়েছে।
জানা গেছে, মামলার বড় অংশ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। শীর্ষস্থানীয় কিছু নেতা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন এবং সেখান থেকে যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশে অবস্থান করছেন।
যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রক্রিয়া নিয়ে একটি নেতার বরাত দিয়ে জানা গেছে, অনেকেই ছয় মাসের মধ্যে এই আবেদন জমা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, “দেশে আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়। সন্ত্রাসের কারণে নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন এবং প্রাণের নিরাপত্তার ভয়ে দেশে ফিরতে পারছেন না।”
সিলেট পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শিগগিরই আসামিদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
সংক্ষেপে:
-
জুলাই আন্দোলনের মামলায় ২৫ হাজারের বেশি আসামি, ৩১৪ জন গ্রেপ্তার
-
শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতা প্রবাসে, যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন
-
পুলিশের অভিযান অব্যাহত, মামলার তদন্ত চলছে ধীরে ধীরে
-
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতার অভিযোগ, দেশে আইনের শাসন ও বিচার স্বাধীনতা নেই