প্রকাশকাল: শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে ভারতের অর্থনীতি চাপে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে স্বদেশী পণ্য কেনার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শনিবার (২ আগস্ট) বারানসীর এক জনসভায় দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
“বিশ্ব অর্থনীতি অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করতে স্বদেশী অভিযানের বিকল্প নেই।”
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির প্রভাব
-
১ আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের বেশ কয়েকটি পণ্যের ওপর ২৫% শুল্ক আরোপের প্রস্তাবে সই করেন।
-
চিকিৎসা সামগ্রী, অটোপার্টস ও ধাতব পণ্যগুলো শুল্ক অব্যাহতির আওতায় থাকলেও চামড়া, বস্ত্র ও যন্ত্রাংশ খাতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
-
এসব খাত ভারতের রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ, ফলে সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে বৈদেশিক আয়ের ওপর।
ভারতের প্রতিক্রিয়া ও প্রস্তুতি
-
দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এ শুল্ক বৃদ্ধির অর্থনৈতিক প্রভাব যাচাই করছে।
-
রপ্তানিকারকসহ বিভিন্ন শিল্প খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে।
-
মোদী সরকারের ধারণা, “আত্মনির্ভর ভারত” কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্ষতি সামাল দেওয়া সম্ভব।
রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত
-
ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের পরও রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি ও অস্ত্র কেনার চুক্তি থেকে সরে আসবে না বলে জানিয়েছে ভারত।
-
ভারতের কর্মকর্তারা বলছেন, “দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত স্বার্থে মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অটুট রাখা হবে।”
বিশ্লেষকদের মতামত
-
রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের অস্ত্র ও জ্বালানি আমদানির ঐতিহাসিক নির্ভরতা একদিনে বন্ধ করা সম্ভব নয়।
-
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে ভারত এখন কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে।
উপসংহার:
যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য টানাপোড়েনের মধ্যেই মোদীর স্বদেশী পণ্য ব্যবহার কর্মসূচি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। সামনের দিনগুলোতে এই পদক্ষেপ অর্থনীতিকে কতটা চাঙা করতে পারে, তা নির্ভর করবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিস্থিতি এবং ভারতের কৌশলগত নীতিনির্ধারণের ওপর।