📅 প্রকাশিত: ৬ আগস্ট ২০২৫ | সিএমজি বাংলা ডেস্ক
বিশ্ব রাজনীতির উত্তেজনা, সুরক্ষাবাদ এবং একতরফা নীতির কারণে যখন বৈশ্বিক অর্থনীতি চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে, তখন চীনের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও স্থিতিশীল নীতিকৌশল বিশ্ব অর্থনীতির জন্য নতুন আশার আলো হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) পলিটব্যুরোর এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সেখানে বলা হয়, অর্থনীতির দ্বিতীয়ার্ধে রাজস্ব নীতিকে আরও সক্রিয় করতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলোর বাস্তবায়ন জোরদার করতে হবে।
🔍 মূল সিদ্ধান্ত ও দিকনির্দেশনা:
-
সামষ্টিক অর্থনীতিকে আরও কার্যকর, সময়োপযোগী ও স্থিতিশীল করার পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা
-
রাজস্ব নীতিকে আরও সক্রিয় এবং লক্ষ্যভিত্তিক করার আহ্বান
-
সেবা খাতসহ ভোক্তা ব্যয় বাড়ানোর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাহিদা জোরদার করার পরিকল্পনা
-
সবুজ অর্থনীতি, কম-কার্বন রূপান্তর, ডিজিটাল অর্থনীতি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্য
📈 অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও পরিকল্পনা:
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে চীনের প্রবৃদ্ধি ৫.৩ শতাংশ, যা বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে বিবেচিত। দেশটি বর্তমানে ১৪তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি ১৫তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রস্তুতিও নিচ্ছে। চীনের এই পরিকল্পনাগুলো কেবল অর্থনৈতিক কর্মপন্থাই নয়, বরং একটি কৌশলগত প্রত্যাশা ব্যবস্থাপনা—যার মাধ্যমে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে দেশটির প্রভাব বাড়ছে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে চীনের অবদান বর্তমানে প্রায় ৩০ শতাংশ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির উৎস। অর্থাৎ, চীন নিজেকে স্থিতিশীল রেখে বিশ্বকে অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করছে।
🛍️ ভোক্তা চাহিদা ও বাজার সম্প্রসারণ:
২০২৫ সাল পর্যন্ত চীনের মোট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ৫২ শতাংশ এসেছে চূড়ান্ত ভোক্তা ব্যয় থেকে। এই প্রবণতা আরও বাড়াতে দেশটি ভোগ্যপণ্যের মানোন্নয়ন, সেবা খাতে উদ্ভাবন এবং নতুন বাজার তৈরির ওপর জোর দিচ্ছে। লেগোল্যান্ড শাংহাই রিসোর্ট চালু এবং আসিয়ান দেশগুলোর তাজা ফলের আমদানি চাহিদা বৃদ্ধির উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
🌍 বৈশ্বিক বাণিজ্যে উন্মুক্ততার বার্তা:
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশটি টানা ১৬ বছর ধরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক এবং প্রায় ৮০টি দেশ ও অঞ্চলের প্রধান রপ্তানি গন্তব্য। সুরক্ষা-বাণিজ্যবাদের উত্থানের মধ্যেও চীন বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব ও উন্মুক্ত বাজারনীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
✅ সমাপ্তি বক্তব্য:
পলিটব্যুরোর বৈঠকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, চীনের অর্থনীতির গতি, গঠন এবং বৈচিত্র্য—বিশ্বের ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশাল সম্ভাবনার জানালা। যারা এই বাস্তবতা অনুধাবন করে এগিয়ে যাবে, তারাই ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক নেতৃত্বে স্থান করে নিতে পারবে।
📢 বিশ্বব্যাপী মূল্যসৃষ্টির এই যুগে চীনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়তে আগ্রহী দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এখনই সময় সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার।
🖋 প্রতিবেদক: সিএমজি বাংলা অর্থনীতি ডেস্ক
📌 সূত্র: চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশনা