আগামী সপ্তাহে আলাস্কায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শীর্ষ বৈঠক। তবে বৈঠক ঘিরে ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, সম্ভাব্য কোনো চুক্তিতে ইউক্রেনকে তার ভূখণ্ডের একটি বড় অংশ ছাড়তে বাধ্য করা হতে পারে।
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে আগামী শুক্রবারের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আলোচনায় অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং কিয়েভকে অবশ্যই আলোচনার অংশ করতে হবে বলে সতর্ক করেছেন ইউক্রেন ও ইউরোপীয় পক্ষ।
ট্রাম্প বৈঠকের ঘোষণা দেওয়ার সময় ইঙ্গিত দেন, “উভয় পক্ষের মঙ্গলের জন্য কিছু ভূখণ্ড অদলবদল করতে হবে।” তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি। এর প্রতিক্রিয়ায় জেলেনস্কি স্পষ্ট জানান, শান্তি কেনার জন্য ইউক্রেন কোনো ভূখণ্ড ছাড়বে না।
শনিবার যুক্তরাজ্যে কিয়েভের মিত্রদেশগুলোর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা বৈঠক করেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট যৌথ বিবৃতিতে জানান—শুধুমাত্র সক্রিয় কূটনীতি, ইউক্রেনকে সহায়তা ও রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি একত্রে প্রয়োগ করেই যুদ্ধের অবসান সম্ভব।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বলেন, “ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ ইউক্রেনীয়দের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্ধারণ করা যাবে না। ইউরোপকেও আলোচনায় যুক্ত হতে হবে।” জেলেনস্কিও একই অবস্থান ব্যক্ত করে টেকসই শান্তির জন্য দৃঢ় পদক্ষেপের আহ্বান জানান।
এ বছরের শুরুতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তিন দফা শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে এ যুদ্ধে হাজারো মানুষ নিহত এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
ট্রাম্প–পুতিন বৈঠকটি হবে ২০২১ সালের জুনের পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মধ্যে প্রথম সরাসরি বৈঠক। বৈঠকের স্থান আলাস্কা নিয়ে জেলেনস্কি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, এটি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে অনেক দূরে। অন্যদিকে ক্রেমলিন জানিয়েছে, ভূগোল ও অর্থনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় স্থানটি যৌক্তিক।
আপনি চাইলে আমি এই নিউজটির জন্য একটি সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও লিডও বানিয়ে দিতে পারি, যা সরাসরি প্রকাশযোগ্য হবে।