স্টাফ রিপোর্টার | প্রবাস বুলেটিন
রাজধানীর বিজয়নগরে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল সরকারের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির ১৮ কোটি মানুষকে নিয়ে রাজপথে নামলে, যমুনায় কেউ টিকে থাকতে পারবে না।”
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সমালোচনা
নূরুল ইসলাম বুলবুল অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জুলাই ঘোষণাপত্রে দেশের ইতিহাসের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উপেক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
-
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের আত্মত্যাগ
-
শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড
-
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আল্লামা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু ও শীর্ষ নেতাদের “বিচারিক হত্যাকাণ্ড”
-
জুলাই বিপ্লবে আলেম-ওলামা ও ছাত্র সমাজের অবদান
-
প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ভূমিকা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিজেই স্বীকার করেছেন যে, নির্বাচিত সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের আইনি ভিত্তি দেবে, কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সেই সাংবিধানিক ক্ষমতা নেই। এ প্রসঙ্গে বুলবুল প্রশ্ন তোলেন, “তাহলে কোন সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব পালন করছে?”
গণভোট ও পিআর পদ্ধতির দাবি
সরকারকে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি আনুগত্য না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণভোটের মাধ্যমে জুলাই ঘোষণাপত্রের আইনি ভিত্তি দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতি শুধু জামায়াতের দাবি নয়, বরং এটি প্রতিটি নাগরিকের মতামতের যথাযথ মূল্যায়নের জন্য অপরিহার্য। এই পদ্ধতিতেই জনগণের সরকার ও সংসদ গঠিত হয়। তাই পিআর পদ্ধতিসহ ৭ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশে অসুবিধার জন্য দুঃখপ্রকাশ
সমাবেশের কারণে নগরবাসীর সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “এই কষ্ট দেশ ও জাতির আগামীর ভাগ্য নির্ধারণের জন্য, জামায়াতে ইসলামীর সকল কর্মসূচি দেশ ও জাতির স্বার্থে।”