অবিশ্বাস্য—শব্দটি দিয়েও অনেক সময় অবিশ্বাসের মাত্রাটাকে পুরোপুরি বুঝানো যায় না। কোনো খেলোয়াড়ের জন্য ৩৫ কোটি ডলার বা ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা খরচের হিসাবটাও এমন অবিশ্বাস তৈরি করে সবার মধ্যে। সিনেমা কিংবা গল্প–কবিতা হলে ঠিক আছে, কিন্তু বাস্তবে কীভাবে সম্ভব! তবে শুনতে অসম্ভব মনে হলেও এমনটাই নাকি হতে যাচ্ছে।
ভিনিসিয়ুসকে পেতে সৌদি ক্লাব আল আহলি ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রস্তাব দেবে। একাধিক ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যমে ভিনিসিয়ুসের জন্য আল আহলির সম্ভাব্য এই প্রস্তাবের খবর প্রকাশিত হয়েছে। যদি এই খবর সত্যি হয় এবং ভিনিসিয়ুস যদি এই প্রস্তাবে রাজি হন, তবে তিনিই হবেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার।
ভিনিসিয়ুসকে পেতে আল আহলি জোর চেষ্টা শুরু করলেও একই দৌড়ে কিন্তু আরও ক্লাব আছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আল নাসর এবং নেইমারের ক্লাব আল হিলালও নাকি কিনতে চায় ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। আপাতত অবশ্য এই দুই ক্লাবের চেয়ে বেশ এগিয়ে আছে আল আহলিই। যেখানে আন্তর্জাতিক তারকার মধ্যে রবার্তো ফিরমিনো, রিয়াদ মাহরেজ এবং ইভান টনিও খেলেন।
ভিনিসিয়ুসকে নিয়ে সৌদি ক্লাবের আগ্রহ এবারই প্রথম নয়। গত বছরের আগস্টেও তাঁকে পাওয়ার জন্য বড় অংকের প্রস্তাব এসেছিল। তবে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দারুণ ছন্দে থাকা ভিনিসিয়ুস সেসব প্রস্তাবের দিকে ফিরেও তাকাননি। এর আগে ২০২৩ সালে রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছিলেন ভিনি। নতুন চুক্তি অনুযায়ী ভিনিসিয়ুস রিয়ালে থাকবেন ২০২৭ সাল পর্যন্ত। তবে এর মধ্যে নতুন এই প্রস্তাবে আবারও নড়েচড়ে বসেছে ফুটবল দুনিয়া।
বিশাল অঙ্কের এই প্রস্তাবে অবশ্য মনোযোগ হারাচ্ছেন না ভিনিসিয়ুস। বরং সেসব ভুলে নিজের খেলাতেই মনোযোগ রাখতে চান তিনি। সম্প্রতি সালজবুর্গের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ভিনি।
রিয়ালের ৫–১ গোলের জয়ের পর ভিনিসিয়ুস বলেছেন, ‘ আমার ভবিষ্যৎ? রিয়াল মাদ্রিদ।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার পরবর্তী ধাপ হচ্ছে সব সময় নিজের উন্নতির বিষয়টা মাথায় রাখা এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্লাবটিকে সহায়তা করা। আমি এখানে আসার এবং অসাধারণ সব খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার স্বপ্ন দেখতাম। এটাই আমার স্বপ্ন। আমি আরও বড় কিছু চিন্তা করতে চাই, দলের জার্সিতে আরও বেশি শিরোপা জিততে চাই।’
এদিকে সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, ভিনিসিয়ুস এখনো সৌদি ক্লাবে যাওয়ার বিষয়টি নাকচ করে দেননি, তবে দরকষাকষিও যে বেশ জোরের সঙ্গে চলছে, তা–ও নয়। এখন টাকার কাছে নত হয়ে শেষ পর্যন্ত ভিনিসিয়ুস রিয়ালের মতো বিশ্বসেরা ক্লাবকে বিদায় বলেন কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।