ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা এবং লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ হামলায় অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে, মার্কিন বাহিনীর ইয়েমেনের বিভিন্ন অঞ্চলে চালানো বোমা হামলায় আরও অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
গাজায় ক্রমাগত হামলা, মানবিক অঞ্চলও রেহাই পাচ্ছে না
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, দক্ষিণ গাজার তথাকথিত মানবিক অঞ্চল আল-মাওয়াসিতে একটি তাঁবুতে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগেও গাজার বনি সুহেলিয়া শহরে ইসরায়েলের চালানো হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন, যা পূর্বে তিনজন ছিল বলে জানানো হয়েছিল।
সর্বশেষ হিসাবে, সোমবার পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান সংঘাতে গত ১৮ মাসে অন্তত ৫১,২০১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,১৬,৮৬৯ জন আহত হয়েছেন।
তবে গাজার সরকারের গণমাধ্যম দপ্তর দাবি করছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ, যাদের মৃত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ লেবাননে সমন্বিত ইসরায়েলি হামলা, নিহত ২
সোমবার ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে ব্যাপক ও সমন্বিত হামলা চালায়। এতে অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
হামলার এই নতুন ঢেউয়ে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়েছে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছেন।
ইয়েমেনে মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলা, প্রাণ গেল অন্তত ১২ জনের
একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী ইয়েমেনের জনবহুল অঞ্চলে চালায় একাধিক বিমান হামলা। হুতি-সংশ্লিষ্ট আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে,
উত্তর-পশ্চিম ইয়েমেনের আমরান প্রদেশে তিনটি, উত্তরের মারিব প্রদেশের আল-জাওবা জেলায় দুটি এবং সারওয়াহ জেলায় আরও চারটি বিমান হামলা চালানো হয়।
এই হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, এসব হামলা ছিল জনবহুল এলাকাগুলোর উপর, যার ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
উপসংহার: সহিংসতা বাড়ছে, শান্তি প্রক্রিয়া অনিশ্চিত
গাজা, লেবানন এবং ইয়েমেনে এই ধারাবাহিক হামলা মধ্যপ্রাচ্যকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলছে।
যেখানে একদিকে মানবিক সংকট প্রকট হচ্ছে, অন্যদিকে আঞ্চলিক উত্তেজনা দিন দিন নতুন মাত্রা পাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক কূটনীতির ব্যর্থতা এবং সামরিক আগ্রাসন—এই দুইয়ের যুগপৎ প্রভাবে যুদ্ধাবস্থার কোনো নিরবচ্ছিন্ন সমাধান এখনও দৃশ্যমান নয়।