বৈশাখের তীব্র দাবদাহে নাকাল দেশের জনজীবন। কয়েকদিনের বৃষ্টির পরও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। তবে এর মাঝেই আগামী ২৪ ঘণ্টায় কিছু কিছু এলাকায় তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পাশাপাশি টানা পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে সোমবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ সময়ে গোপালগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কিছু কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমার সম্ভাবনা রয়েছে, পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রাও কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।
পরবর্তী দিনগুলোতেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে।
-
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল): দেশের আটটি বিভাগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে, তবে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
-
বুধবার (৩০ এপ্রিল): ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
-
বৃহস্পতিবার (১ মে): দেশের প্রায় সব বিভাগে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
-
শুক্রবার (২ মে): একই ধরনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নীলফামারীর ডিমলায় সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এছাড়া রাজারহাটে ৪১, সিলেটে ৩৮, মাইজদীকোর্টে ২৯, রংপুরে ২০, নেত্রকোণায় ৭ ও শ্রীমঙ্গলে ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার মধ্যে কিছু সময় তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও সামগ্রিকভাবে জনজীবনে স্বস্তি ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।