তরুণ সমাজকে সম্পৃক্ত করে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আগামী মে মাসে দেশব্যাপী চারটি বৃহত্তর কর্মসূচি আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন— জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। দেশের ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ভাগ করে ৪টি বৃহত্তর অঞ্চলে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
দলীয় বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে বিএনপি সেই বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তি, যা ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে বারবার গুম-খুন, হামলা-মামলা ও নিপীড়নের শিকার হয়েও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার দেশের তরুণ প্রজন্মকে রাষ্ট্র গঠনের মূল চালিকাশক্তিতে পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় এই কর্মসূচিগুলো গ্রহণ করা হয়েছে, যার লক্ষ্য তরুণদের রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়ন, চিন্তাশীল নেতৃত্ব তৈরি এবং একটি ন্যায্য ও টেকসই উন্নয়নমুখী রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি নির্মাণ।
কর্মসূচির কাঠামো:
প্রত্যেক বৃহত্তর বিভাগে দুই দিনব্যাপী আয়োজন হবে। প্রথম দিন সেমিনার এবং দ্বিতীয় দিন ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারগুলোতে কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবেশ, প্রযুক্তি ও রাজনৈতিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে তারুণ্যের চিন্তা ও ভবিষ্যৎ ভাবনার ওপর আলোকপাত করা হবে। সমাবেশগুলো হবে তরুণদের ঐক্য, প্রত্যয় এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তার প্রাণবন্ত বহিঃপ্রকাশ।
কর্মসূচির সময়সূচি ও বিষয়বস্তু:
-
প্রথম কর্মসূচি:
-
অঞ্চল: চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা
-
স্থান: চট্টগ্রাম
-
তারিখ: ৯–১০ মে ২০২৫
-
সেমিনার বিষয়: কর্মসংস্থান ও বহুমাত্রিক শিল্পায়ন নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা
-
সমাবেশ: তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ
-
-
দ্বিতীয় কর্মসূচি:
-
অঞ্চল: খুলনা ও বরিশাল
-
স্থান: খুলনা
-
তারিখ: ১৬–১৭ মে ২০২৫
-
সেমিনার বিষয়: শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা
-
সমাবেশ: তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ
-
-
তৃতীয় কর্মসূচি:
-
অঞ্চল: রাজশাহী ও রংপুর
-
স্থান: বগুড়া
-
তারিখ: ২৩–২৪ মে ২০২৫
-
সেমিনার বিষয়: কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা
-
সমাবেশ: তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ
-
-
চতুর্থ কর্মসূচি:
-
অঞ্চল: ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ
-
স্থান: ঢাকা
-
তারিখ: ২৭–২৮ মে ২০২৫
-
সেমিনার বিষয়: তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা ও অর্থনৈতিক মুক্তি
-
সমাবেশ: তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ
-
লক্ষ্য ও প্রত্যাশা:
বিএনপি মনে করে, এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে তরুণ সমাজের প্রত্যাশা, ভাবনা ও অভিমত সংগ্রহ করে তা নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিফলিত করা হবে। তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গঠনের পথে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে বলে দলটি আশাবাদী।
বিএনপির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, এই কর্মসূচি শুধু একটি রাজনৈতিক আয়োজন নয়; বরং এটি ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নির্মাণে একটি প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ঐতিহাসিক প্রয়াস।