প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আওয়ামী লীগ নেতা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আওয়ামী লীগের অনুশোচনা বা ক্ষমা চাওয়ার বিষয় থাকলেও তা জনগণের কাছে, কোনো এনজিও বা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের কাছে নয়।
শনিবার (৯ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার দিকে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে জয় এ মন্তব্য করেন। তিনি লেখেন, “আওয়ামী লীগ জনগণের দল, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল। আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে বারে বারে ফিরে যাবে।”
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনের প্রেক্ষাপট
প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে উদ্ধৃত করে বলা হয়—
-
যদি কোনো অনুশোচনা বা ক্ষমা চাওয়ার বিষয় থাকে, তা জনগণের সঙ্গে বোঝা হবে।
-
স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানো সম্ভব হলে বিবেচনা করা হবে।
-
গত এক বছরে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তার দায় সংশ্লিষ্টদের নিতে হবে।
আরাফাতের বক্তব্য
মোহাম্মদ আলী আরাফাত দাবি করেন—
-
৫ আগস্টের ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে হত্যা করেনি; বরং ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছে।
-
চাইলে বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় থাকা যেত, কিন্তু আওয়ামী লীগ তা চায়নি।
-
গত এক বছরে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য “জঙ্গি, যুদ্ধাপরাধী, সাম্প্রদায়িক ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তি” একযোগে ষড়যন্ত্র করেছে।
-
বিদেশি অর্থায়ন ও পরিকল্পিত উসকানিতে একাধিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আজ দেশের বেশির ভাগ মানুষ বুঝতে পারছে, তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।”
সমাপনী মন্তব্য
সজীব ওয়াজেদ জয় ও মোহাম্মদ আলী আরাফাতের এই মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে মূল বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু—ক্ষমা চাওয়া কার কাছে এবং কোন প্রেক্ষাপটে হবে।