প্রকাশের তারিখ: রোববার, ১৮ আগস্ট ২০২৫
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত সংস্কারগুলো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাস্তবায়ন করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে বাধ্য করা হবে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘জুলাই ঘোষণা এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তাহেরের বক্তব্য
-
যারা সংস্কারের বিরোধী, তারা যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়, অভিযোগ করেন তিনি।
-
সংস্কার, পিআর ও নির্বাচন নিয়ে একটি প্যাকেজ গণভোট আয়োজন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
-
জনগণের রায়ের ভিত্তিতেই জামায়াত সিদ্ধান্ত মেনে নেবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ারের মন্তব্য
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় স্বার্থে জামায়াত অনেক ‘স্যাক্রিফাইস’ করেছে। বিএনপিকেও একইভাবে আত্মত্যাগের আহ্বান জানান তিনি।
তাঁর মতে, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের আইনি কাঠামো ছাড়া নির্বাচন হলে দেশের জন্য তা হবে এক মহাবিপর্যয়।
অন্যান্য বক্তাদের বক্তব্য
-
মোহাম্মদ শিশির মনির (আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট): জুলাই ঘোষণা ও সনদের আইনি ভিত্তি জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। রাষ্ট্রপতির ঘোষণাপত্র বা গণভোট এ ক্ষেত্রে কার্যকর উপায়।
-
আহমদ আবদুল কাদের (খেলাফত মজলিস): অন্তর্বর্তী সরকারের আশ্বাস যথেষ্ট নয়, রাষ্ট্রপতির ঘোষণার মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে।
-
আশরাফ আলী আকন (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ): ভোট ডাকাতি ও মনোনয়ন–বাণিজ্য রোধে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অপরিহার্য।
-
আখতার হোসেন (জাতীয় নাগরিক পার্টি): জুলাই ঘোষণাপত্রকে অপরিপক্ব ও আশাব্যঞ্জক নয় বলে মন্তব্য করেন; নতুন সংবিধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মতিউর রহমান আকন্দসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়া খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
সেমিনার সঞ্চালনা করেন জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও রেজাউল করিম।