মালয়েশিয়ায় বৈধ ভিসা বা বসবাসের অনুমতি থাকলেও অভিবাসীদের জন্য আইনের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে কঠোর বার্তা দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুথন ইসমাইল।
শনিবার (১৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি স্পষ্ট করে জানান, ভিসার ধরন যাই হোক না কেন—শিক্ষার্থী, বিনিয়োগকারী, দীর্ঘমেয়াদি ভ্রমণকারীর পাস কিংবা Malaysia My Second Home কর্মসূচির অনুমতি—সবাইকে বিদ্যমান আইন মেনে চলতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মূল বক্তব্য
-
আইন ভঙ্গকারী যেই হোক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-
মালয়েশিয়ার মানুষের নিরাপত্তা ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সরকারের অবস্থান আপসহীন।
-
আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় ভিসা বা পাস বাতিল, কালো তালিকাভুক্তি এবং নির্বাসন কার্যকর করা হবে—ব্যক্তির পটভূমি, মর্যাদা বা জাতীয়তা নির্বিশেষে।
-
রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশ সর্বদা নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে এবং প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে।
সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট
সম্প্রতি বিদেশিদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ঘটনার ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ঘটনা আইনের আওতায় নিষ্পত্তি করা হবে, তাই গুজব বা অতিরঞ্জিত ব্যাখ্যা দিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই।
বিদেশি শ্রমবাজার প্রসঙ্গে
তিনি জানান, মালয়েশিয়া বর্তমানে মাত্র ১৫টি দেশ থেকে নিম্নদক্ষ শ্রমিক নিয়োগের অনুমতি দেয়, যেখানে চীন অন্তর্ভুক্ত নয়।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় নিবন্ধিত চীনা প্রবাসীর সংখ্যা ৩০ হাজার ৬৭৯ জন। তারা মূলত নির্মাণ, উৎপাদন, তথ্যপ্রযুক্তি ও সেবাখাতে কর্মরত, যা বড় প্রকল্প ও বিশেষ কারিগরি দক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কিত।
🔹 মালয়েশিয়া সরকার অভিবাসন আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।