প্রকাশের তারিখ: সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকি তাঁর সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য ঘোষণা করেছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কাঠমান্ডুতে খোলা আকাশের নিচে অস্থায়ী মঞ্চে তিন মন্ত্রী শপথ নেন। প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওদেল নতুন মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় এ অনুষ্ঠান।
নতুন তিন মন্ত্রীর দায়িত্ব
-
ওম প্রকাশ আর্যাল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। দুর্নীতি ও মানবাধিকার বিষয়ক মামলায় পরিচিতি রয়েছে তাঁর।
-
কুলমান ঘিসিং: সাবেক বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের পরিচালককে দেওয়া হয়েছে জ্বালানি, অবকাঠামো, পরিবহন ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। নেপালে লোডশেডিং দূরীকরণে তিনি প্রশংসিত।
-
রমেশ্বর খানাল: সাবেক অর্থসচিব ও অর্থনীতিবিদকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশের উচ্চ বেকারত্ব কমানো তাঁর প্রধান চ্যালেঞ্জ।
পটভূমি
-
৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভে অন্তত ৭২ জন নিহত হন।
-
বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ একাধিক স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে।
-
সহিংসতার জেরে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি পদত্যাগ করেন। এরপর ১২ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান সুশীলা কারকি।
কারকির বক্তব্য
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণে সুশীলা কারকি বলেন, তিনি ছয় মাসের বেশি এ পদে থাকবেন না। আগামী বছরের ৫ মার্চ জাতীয় নির্বাচনের পর নতুন নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
চ্যালেঞ্জ সামনে
-
আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার
-
ক্ষতিগ্রস্ত পার্লামেন্ট ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সংস্কার
-
জেন-জি প্রজন্মের পরিবর্তনের দাবির সঙ্গে গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতার ভারসাম্য রক্ষা
সুশীলা কারকি বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতির প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছিলেন। ফলে জনগণের আস্থার প্রতীক হলেও প্রভাবশালী গোষ্ঠীর বিরোধিতার কারণে বিচারিক পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল তাঁকে। এবার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় দেশকে অশান্ত পরিস্থিতি থেকে বের করে আনা তাঁর মূল দায়িত্ব।