প্রকাশের তারিখ: রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
প্রতিবেদন: প্রবাস বুলেটিন ডেস্ক
টানা আট দিন ধরে আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। নতুন প্রজ্ঞাপনে শিক্ষকদের বাড়িভাড়া মূল বেতনের ৫ শতাংশ অথবা সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে—যেটি শিক্ষকের জন্য বেশি হবে সেটিই প্রযোজ্য হবে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের উপসচিব মরিয়ম মিতুর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
🔹 প্রজ্ঞাপনের মূল দিকগুলো
প্রজ্ঞাপনে বাড়িভাড়া ভাতা প্রদানে কয়েকটি শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছে—
১. ভাতা পরবর্তীতে জাতীয় বেতনস্কেল অনুযায়ী সমন্বয় করতে হবে।
২. সংশ্লিষ্ট এমপিও নীতিমালা (২০২১, ২০১৮ ও সংশোধিত ২০২০) অনুসরণ করে নিয়োগের শর্ত পালন করতে হবে।
৩. ভাতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবে না।
৪. ভাতা প্রদানের সময় সরকারি আর্থিক বিধি-বিধান অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
৫. ভবিষ্যতে ভাতা সংক্রান্ত কোনো অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
🔹 আন্দোলনের পটভূমি
দীর্ঘদিন ধরে বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। গত আগস্টে তারা রাজধানীতে মহাসমাবেশ করে মূল বেতনের নির্দিষ্ট শতাংশ হারে বাড়িভাড়া প্রদানের দাবি জানান।
কিন্তু তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে মাত্র ৫০০ টাকা বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি হলে তা নিয়ে শিক্ষক সমাজে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়। শিক্ষকরা ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবসে সেই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে আন্দোলনে নামেন।
🔹 প্রতিক্রিয়া ও প্রভাব
নতুন সিদ্ধান্তকে শিক্ষকরা আন্দোলনের আংশিক সাফল্য হিসেবে দেখছেন। তবে শিক্ষক সংগঠনগুলোর একটি অংশ জানিয়েছে, তারা বাড়িভাড়া ভাতা আরও যৌক্তিক পর্যায়ে উন্নীত করার দাবি অব্যাহত রাখবেন।
উপসংহার:
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ নতুন প্রজ্ঞাপন বেসরকারি শিক্ষক সমাজে কিছুটা স্বস্তি আনলেও আন্দোলন সম্পূর্ণ থামবে কি না—তা নির্ভর করছে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর। শিক্ষা পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত দেশের প্রায় ৫ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলবে।
									 
					