প্রকাশের তারিখ: সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, দেড় হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ—এই তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, শত শত শিক্ষক-কর্মচারী ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় তাঁরা স্লোগান দিচ্ছিলেন—
“বিশ পার্সেন্ট বাড়ি ভাড়া, দিতে হবে দিয়ে দাও”,
“অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন, দিতে হবে দিয়ে দাও”,
“১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, দিতে হবে দিয়ে দাও।”
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ইউসুফ ভুঁইয়া বলেন, “আমরা এখানে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আসিনি। শুধু ন্যায্য দাবির জন্য আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের এলাকায় প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই কর্মবিরতি চলছে।”
‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, “আমাদের সঙ্গে এখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা সরকারের কোনো পক্ষ আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করেনি। তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানা গেছে, দাবি পূরণে মন্ত্রণালয় তৎপর রয়েছে।”
আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কর্মস্থলে ফিরবেন না। তবে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রয়োজনে শুক্র ও শনিবার ক্লাস নেবেন।
এর আগে গতকাল রোববার সকাল আটটা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। দুপুর পর্যন্ত প্রায় ছয় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকার পর পুলিশ লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। পরে আন্দোলনকারীরা বিকেল তিনটার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখানেই রাত কাটান।
তাঁদের তিন দফা দাবিগুলো হলো—
- 
মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাতা প্রদান,
 - 
শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ,
 - 
কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা।
 
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি না হলে তারা বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন।
									 
					