প্রকাশের সময়: শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
প্রযুক্তি ডেস্ক
:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর সেবা আরও সহজলভ্য করতে বাংলাদেশসহ এশিয়ার ১৬টি দেশে ‘চ্যাটজিপিটি গো’ নামের নতুন সাশ্রয়ী প্যাকেজ চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই।
মাত্র ৫ ডলারের মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি-তে এই প্যাকেজে ব্যবহারকারীরা চ্যাটজিপিটির বিনামূল্যের সংস্করণের তুলনায় প্রতিদিন দ্বিগুণের বেশি প্রম্পট লেখা, ছবি তৈরি, এবং ফাইল বা ছবি আপলোডের সুযোগ পাবেন।
🌏 এশিয়ার ১৬ দেশে একসঙ্গে চালু
ওপেনএআই জানিয়েছে, এশিয়া অঞ্চলে তাদের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগস্টে প্রথম ভারতে চালুর পর সেপ্টেম্বরে ইন্দোনেশিয়ায় এই সেবা চালু হয়। এবার নতুন করে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভুটান, ব্রুনেই দারুসসালাম, কম্বোডিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, পূর্ব তিমুর ও ভিয়েতনামে চ্যাটজিপিটি গো চালু হয়েছে।
ওপেনএআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা সম্প্রতি চার গুণ পর্যন্ত বেড়েছে।
💬 ওপেনএআইয়ের লক্ষ্য: “একটি ডিজিটাল অপারেটিং সিস্টেম”
ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি বিভাগের প্রধান নিক টারলি প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন,
“আমরা চ্যাটজিপিটিকে এমন এক প্ল্যাটফর্মে রূপ দিতে চাই, যা একপ্রকার অপারেটিং সিস্টেমের মতো কাজ করবে। ব্যবহারকারীরা চাইলে লিখতে, কোডিং করতে বা কোনো পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারবেন — প্রতিটি কাজের জন্য থাকবে আলাদা অ্যাপ।”
বর্তমানে চ্যাটজিপিটির সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারী প্রায় ৮০০ মিলিয়ন (৮০ কোটি) বলে জানিয়েছেন তিনি।
⚔️ গুগলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ওপেনএআই
এশিয়ার বাজারে গুগলের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতায় নেমেছে ওপেনএআই। গত সেপ্টেম্বরে গুগল তাদের ‘গুগল এআই প্লাস’ প্যাকেজ চালু করে ইন্দোনেশিয়ায়, যা পরে ৪০টির বেশি দেশে সম্প্রসারিত হয়।
গুগলের এই সেবার আওতায় ব্যবহারকারীরা ‘জেমিনি ২.৫ প্রো’ এআই মডেল, ফ্লো (ডিজাইন টুল), হুইস্ক (ছবি পুনর্গঠন) ও ভিও ৩ ফাস্ট (ভিডিও তৈরি) — একত্রে ব্যবহার করতে পারেন।
🔍 উপসংহার
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, “চ্যাটজিপিটি গো” চালুর মাধ্যমে ওপেনএআই দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে স্বল্পমূল্যের এআই সেবা খাতে বিপ্লব আনতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এটি ডিজিটাল শিক্ষায়, ব্যবসায় ও কনটেন্ট তৈরিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।
📎 সূত্র: টেকক্রাঞ্চ
									 
					