প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ঢাকা
রাজধানীতে মেট্রোরেলের যাত্রীচাপ দিনে দিনে বেড়ে যাওয়ায় নতুন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। শিগগিরই এমআরটি লাইন–৬-এ আরও ১০ ট্রিপ ট্রেন চালুর পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে রাত ১০টার পরও ট্রেন চলাচল করবে।
যাত্রীচাহিদা ও বর্তমান পরিস্থিতি
-
বিশেষ দিনে মেট্রোরেলে যাত্রীসংখ্যা সাড়ে চার লাখ ছাড়িয়ে যায়।
-
সকাল–সন্ধ্যা অফিস টাইম ছাড়াও সারা দিন যাত্রীদের চাপ বাড়ছে।
-
অনেক সময় যাত্রীদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হয় না, ফলে মন্ত্রণালয় থেকেও ট্রেন বাড়ানোর নির্দেশনা এসেছে।
কোচ না বাড়ানোর কারণ
বর্তমানে মেট্রোরেলে ২৪ সেট ট্রেন রয়েছে, প্রতিটি ৬ কোচের। ভবিষ্যতে সেটগুলো ৮ কোচে উন্নীত করার পরিকল্পনা থাকলেও এখনই কোচ বাড়ানো যাচ্ছে না তিন কারণে—
-
প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর (পিএসডি) লাগানো হয়নি।
-
অতিরিক্ত খরচের চাপ সামলানো কঠিন।
-
বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
প্রতিটি ৬ কোচের ট্রেনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০০ যাত্রী বহন করা যায়। নতুন ১০ ট্রিপ চালু হলে অতিরিক্ত ২৩ হাজার যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে।
নতুন সময়সূচির প্রাথমিক পরিকল্পনা
-
সকাল:
-
সকাল সাড়ে ৬টায় সুইপিং ট্রেনের পরই প্রথম ট্রিপ শুরু হবে।
-
উত্তরা থেকে সকাল ৭টায় দ্বিতীয় ট্রিপ ছাড়বে।
-
মতিঝিল থেকে ছাড়তে পারে সকাল ৭টা ১০ ও ৭টা ২০ মিনিটে।
-
-
রাত:
-
উত্তরা থেকে রাত ৯টা ১০, ৯টা ২০ ও ৯টা ৩০ মিনিটে ট্রেন ছাড়বে।
-
মতিঝিল থেকে ছাড়তে পারে রাত ৯টা ৫০, ১০টা ও ১০টা ১০ মিনিটে।
-
ডিএমটিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) মোহাম্মদ ইফতিখার হোসেন জানিয়েছেন, “এটি এখনো স্টাডি পর্যায়ে আছে। সব কিছু ঠিক থাকলে শিগগিরই যাত্রীদের জন্য নতুন ট্রিপ চালু করা হবে।”
বিশেষজ্ঞদের মত
বুয়েটের যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান মনে করেন, শুধু ট্রিপ বাড়ানো নয়, বরং দ্রুত কোচ সংখ্যা বাড়ানো জরুরি। তাঁর মতে, “মেট্রোর প্রকল্প পরিকল্পনার সময় থেকেই ৮ কোচের হিসাব ধরা হয়েছিল। তাই এখন কোচ বাড়াতে টেকনিক্যাল অজুহাত দেখানো দুঃখজনক। ট্রেন সংখ্যা বাড়ালে বিদ্যুৎ খরচও বহুগুণ বেড়ে যাবে।”
সারসংক্ষেপ
যাত্রীদের চাহিদা মেটাতে ট্রিপ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদে সমাধান হতে পারে কেবল কোচ বাড়ানো।

